মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্পের মাটি কাটার কাজ শেষ হলেও সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। সরকারি বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট সময় পার হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা রীতিমতো শঙ্কায় আছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওর পোল্ডার এর অংশ মইয়ার হাওরের মধ্য স্থানে বড় বড় গভীর ২টি ডহর বা খাদ রয়েছে। এসব ডহরে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ ফুট পানি আছে। এ দুই ডহরের মধ্যস্থান দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। দৈর্ঘ্য-প্রস্থ কম হলেও গভীর ভাঙন হওয়ায় ১৬ ও ১৭ নং ২টি পিআইসি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে ১৭ নং পিআইসিকে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ও ১৬ নং পিআইসিকে ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। টাকার হারে বেশির ভাগ ভাঙনের অংশ পড়ে ১৭ নং পিআইসিতে।
৯ মার্চ বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনে মাটি ভরাট কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ সময় ১৭ নং পিআইসি কমিটির শ্রমিকরা বাঁধে কাজ করতে দেখা গেলেও ১৬ নং পিআইসি কমিটির কাউকে পাওয়া যায়নি। তুলনামূলক ভাবে ১৭ নং প্রকল্পের কাজ এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে রয়েছে ১৬নং প্রকল্পের কাজ।
এ বিষয়ে ১৭ নং পিআইসি কমিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান খলিল বলেন, কাজের শুরু থেকেই আমি বেকায়দায় পড়ে যাই। দুই দিকে গভীর ডহর থাকায় বাঁধের দুই পাশে বাঁশের আড় দিয়ে মাটি ভরাট করা হয়। এ সময় মাটির চাপে পরপর দুই বার বাঁশের আড় নিয়ে মাটি ধসে যায় গভীর ডহরে। পরে গাছের বল্লি বসানো হয়। গাছের বল্লির দুই মাথায় ৩ সুতা রড দিয়ে আড় বানানো হয়। এ আড়ের ভেতরে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাটি ভরাট করেছি। যে কারণে কাজ শেষ করতে গিয়ে বিলম্ব হয়েছে। এখন আর ভয়ের কিছু নেই। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে গাছের বল্লি বসাতে গিয়ে অতিরিক্ত সাড়ে ৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী হাসান গাজী জানান, নলুয়ার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের প্রায় সকল প্রকল্পের মাটি কাটার কাজ শেষ হলেও ১৬ ও ১৭ নং প্রকল্পে গভীর খাদ হওয়ায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।