সতের বছর ধরে টিনের চালা ঘরে চলছে পাঠদান

90

তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
সতের বছর ধরে ঠিনের চালা ঘরে চলছে পাঠলাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
স্থায়ী পাকা ভবন নির্মাণ না হওয়ায় ২০০১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৫ বার কাল বৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের চাল। যত বার ভেঙ্গেছে ততবার গ্রামবাসীরা চাদা তুলে মেরামত করে কোন রকম চালিয়ে যাচ্ছেন পাঠদান।
তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ভোরারঘাট গ্রামে ২০০১ সালে স্থাপিত হয় পটলাই আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় শুরুতে একটি টিনের দু’চালা ঘর তৈরী করেন গ্রামবাসী। সেই থেকে এখনো দু’চালা টিনসেড ঘরেই দু’সিফটে ৭০ জন ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করে। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র না থাকায় প্রথম সিফটে ৪০ জন দ্বিতীয় সিফটে ৩০ জন ছাত্রছাত্রীকে লেখাপড়া করানো হয।
স্থানীয়রা জানায় ২০০১ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপনের পর এ পর্যন্ত ৫ বার কাল বৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের চাল। কিন্ত তাতে দমে যায়নি গ্রামবাসী। প্রত্যেকবার নিজোরা গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে ঘরটি মেরামত করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গ্রামবাসী একাধিকবার বার দাপ্তরিক ভাবে যোগাযোগ করলেও আশার আলো দেখছেন ন। ফলে ঝড় বৃষ্টির দিন শুরু হতে না হতেই গ্রামবাসীরাও রয়েছেন আতঙ্কে। কখন জানি বড় হয় আর বিদ্যালয় ভনটি কখন উড়ে যায়। সেই সাথে বিঘিœত হয় তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া।
বিদ্যালয় শিক্ষকদের সূত্রে জানা যায় বিদ্যালয়ে আসবাব পত্রের মধ্যে রয়েছে ৪টি চেয়ার ও ১০ জোড়া ব্রেঞ্চ। কোন টেবিল নেই। আলমিরা না থাকায় সম্প্রতি স্লিপের টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টিন ও বাঁশকাট দিয়ে একটি বক্স নির্মাণ করেন। ঐ বাক্সে বিদ্যালয়ের খাতাপত্র, চক ডাষ্টার সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংরক্ষিত রাখা হয়। তাছাড়া পায়খানা ও নলকূপ না থাকার কারণে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন।
গ্রাম বাসীর দাবী বিদ্যালয়ে সরকার একটি পাকা ভবন তৈরী করে দিলে বছরে বছরে তাদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে সেই সাথে শিক্ষার্থীরা নিশ্চিতে পাঠদান চালিয়ে যেতে পারবে।
পাটলাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা ভোরাঘাট গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, টিনের চালা ঘরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কোথাও আছে আমার জানা নাই।
পটলাই আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কিশোর দাস বলেন, বিদ্যালয়ে আছে বলতে কিছুই নেই। যা আছে গ্রামবাসীর সহায়তায় একটি দু’চালা চাপড়া টিনের ঘর শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খসরুল আলম বলেন,সরকার হতে নির্দেশনা এসেছে শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নে বন্যাশ্রয় কাম বিদ্যালয় নির্মানের জন্য আমি ভোরারঘাট পটলাই আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর নাম প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, বিদ্যালয়ে ভবন না থাকায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যালয়ে একটি স্থায়ী পাকা ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।