স্পোর্টস ডেস্ক :
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারতের বড় জয়ে জমে উঠেছে গ্রুপ টু’র খেলা। পাকিস্তানের সেমিফাইনাল নিশ্চিত। কিন্তু এখনও বলে দেওয়া যাচ্ছে না সেমিতে এই গ্রুপের আরেক দল কারা হবে।
তবে শারজায় (শুক্রবার) নামিবিয়াকে ৫২ রানে হারিয়ে নিজেদের অনেকটা এগিয়ে রেখেছে নিউজিল্যান্ড। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট এখন তাদের। আফগানিস্তানের সমান ম্যাচে পয়েন্ট ৪। ভারতের ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট।
অর্থাৎ এই গ্রুপে আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতে গেলে আর কোনো সমীকরণ বাকি থাকবে না বাকি দলগুলোর। তবে নিউজিল্যান্ড ওই ম্যাচে হারলে রানরেটে তাদের পেছনে ফেলার সুযোগ আসতে পারে ভারত এমনকি আফগানিস্তানেরও।
শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শেষের ঝড়ে ৪ উইকেটে ১৬৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৭ উইকেটে ১১১ রানেই থেমে গেছে নামিবিয়া।
ওপেনিংয়ে স্টিভেন বার্ড আর মাইকেল ফন লিঙ্গেনের ৪২ বলে ৪৭ রানের জুটির পর হঠাৎ কিউই বোলিংয়ে ধস নামে নামিবিয়ার। ৫৮ রানের মধ্যে ৭টি উইকেট হারায় নবাগত দলটি।
কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট আর টিম সাউদি নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছিল নামিবিয়া। নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১৩০ পার হবে কি না, সেই সংশয়ই দেখা দিয়েছিল। ১৬ ওভার শেষে ৪ উইকেটে মাত্র ৯৬ রান ছিল কিউইদের।
সেখান থেকে শেষদিকে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটেই ১৬৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপস আর জেমস নিশাম ৩৬ বলের জুটিতে যোগ করে দেন ৭৬ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার বোলারদের সামনে স্বস্তিতে খেলতে পারেননি কিউই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ৮৭ রানে ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
মার্টিন গাপটিল ১৮ বলে ১৮, ড্যারেল মিচেল ১৫ বলে ১৯, কেন উইলিয়ামসন ২৫ বলে ২৮ আর ডেভন কনওয়ে ১৮ বলে ১৭ রানে আউট হন।
এরপর দারুণভাবে দলকে লড়াইয়ে ফেরান নিশাম-ফিলিপস। চার-ছক্কায় মাঠ গরম করতে থাকেন তারা। ফিলিপস ২১ বলে ১ চার, ৩ ছক্কায় ৩৯ আর নিশাম ২৩ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
নামিবিয়ার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বেরনার্ড স্কলজ। ৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করে একটি উইকেট নেন তিনি।