কাজিরবাজার ডেস্ক :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি আব্দুল হাইকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার (২৫ মে) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, (বুধবার) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১১।’
মুফতি আব্দুল হাই নিষিদ্ধ ঘোষিত হারকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) প্রতিষ্ঠাতা আমির। রমনার বটমূলে বোমা হামলার মামলায়ও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া একাধিক মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন মামলা করেন।
এছাড়া ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ ১৪০৮ বঙ্গাব্দ) ভোরে রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানস্থলে দুটি বোমা পুঁতে রাখা হয়। পরে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় সেগুলোর। ওইদিন বর্ষবরণের অনুষ্ঠান চলাকালে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে একটি ও ১০টা ১৫ মিনিটের পর অন্য বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।
নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) ওই বোমা হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন আরও অনেকেই। এ ঘটনায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে ওইদিনই রমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করে।