স্টাফ রিপোর্টার :
অস্থিতিশীল ভোজ্য সয়াবিন তেলের বাজার শান্ত করতে সিলেটে এবার অভিযানে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়। গত দু’দিনে বিভাগের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বিভিন্ন কোম্পানির ডিলাররা অতিরিক্ত দামে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি করছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
দিনভর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে নগরীসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত হয় ভ্রাম্যমান আদালতের তদারকিমূলক অভিযান। অভিযানকালে ৬টি স্থানে দোকানে মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা, নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে ভোজ্যতেল বিক্রয় এবং টেম্পারিং করার দায়ে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, নগরীর কালীঘাট বাজারে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩৮ হাজার, শহরতলির টুকেরবাজারে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার, সুনামগঞ্জের ধনপুর বাজারে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার ৫শ, হবিগঞ্জের শায়েস্তানগর ও কোর্ট স্টেশন বাজারে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ৫ শ এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দক্ষিণ বাজারে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার ৫ শ টাকাসহ মোট ২২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এর আগে শনিবারও ৫ মার্চ সিলেটে এমন অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়। অভিযানকালে সিলেট নগরীর মীরাবাজার, কালীঘাট বাজার ও কাজিরবাজারে বিভিন্ন দোকানে মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে ভোজ্যতেল বিক্রয় এবং অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ইত্যাদি অপরাধের দায়ে মারুরা স্টোরকে ৫ হাজার, নিত্যপণ্য স্টোরকে ১০ হাজার, মেসার্স এম এ মনির এন্ড কোং-কে ৫০ হাজার, মেসার্স মদিনা ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, বদরুল এন্ড কোম্পানিকে ৫০ হাজার এবং সিলেট ফুড প্রোডাক্টসকে ৫ হাজার- মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে সহায়তা করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এবং বাজার কমিটির সদস্যবৃন্দ। জনস্বার্থে এরূপ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানকালে ব্যবসায়ীদের ভোক্তা-স্বার্থ সংরক্ষণ ও আইনকানুন মেনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রচারণামূলক লিফলেট-পাম্পলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হয়।