স্টাফ রিপোর্টার
উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়। আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ওই সময় নগরীতে অভিযানে নামেন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)-এর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। কিন্তু দু-চারদিন অভিযান চালিয়ে থেমে যায় মেয়র আরিফের তোড়জোড়। এবার সিলেটে সরকারি কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইক।
চলছে কোভিড-১৯ এর তৃতীয় ঢেউ। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায়সহ সরকারি বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে সিলেটে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে জেলা তথ্য অফিস। গত কয়েকদিন থেকে দুটি গাড়িতে করে দিনময় নগরীতে ঘুরে ঘুরে চালানো হচ্ছে এ প্রচারণা। এর মধ্যে একটি গাড়ি ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইক।
সরকারি কাজে উচ্চ আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ গাড়ি ব্যবহার করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সচেতন নগরবাসী। তাদের প্রশ্ন- খোদ সরকারি কাজেই যদি আইন ভঙ্গ করা হয় তবে সাধারণ মানুষ এই আইন মানতে উৎসাহিত হবেন কীভাবে?
এ বিষয়ে জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক (রুটিন) উজ্জ্বল শীল বলেন, প্রচারণাটি মানুষ যাতে ভালো করে শুনতে পান এ জন্য ধীরগতির যানবাহন হিসেবে ইজিবাইক দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছিলো। তবে এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই, আজ বুধবার থেকে এই গাড়ি সরিয়ে নেবো। দুটি অটোরিক্সা দিয়েই চালানো হবে প্রচারণা।