সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মিরাপাড়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আজ শুক্রবার। নির্বাচনকে ঘিরে বৃহত্তর মিরাপাড়া এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক সম্বলিত ব্যানার পোস্টারে পুরো এলাকা ছেয়ে গেছে। প্রার্থীরা বৃহত্তরমিরাপাড়া এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে প্রচারণা করছেন। ১৯৮৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত মিরাপাড়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি জন্মলগ্ন থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। সোসাইটির সাথে জড়িত সদস্যদের সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংগঠনের সদস্যরা বর্তমানে দেশে বিদেশে নিজেদের সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন।
এবারের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ১৪ পদের বিপরীতে ২৩ প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে ৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় বাকী ৯ পদের ১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে মো. মীর হোসেন (আনারস) ও জিয়াউর রহমান সুমন (হরিণ), সহ সভাপতি সৈয়দ শাহজাহান আহমদ (মই) ও মো. জিল্লুর রহমান (কলম), সাধারণ সম্পাদক পদে সালেহ আহমদ (চেয়ার) ও ইমরাজ আহমদ (ফুটবল), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুহিন আহমদ (সিলিং ফ্যান) ও সুমন আহমদ (বাই সাইকেল), অর্থ সম্পাদক পদে নুরুল হোসেন জায়েদ (টেবিল) ও নুরুউদ্দীন আহমদ (শাপলা ফুল), সহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রাসেল আহমদ রাসু (টিউবওয়েল) ও নজরুল ইসলাম (ব্যাডমিন্টন), সহ ধর্ম সম্পাদক আবু তাহের (মোমবাতি) ও কামাল আহমদ (চশমা), সহ দপ্তর সম্পাদক পদে নুরুজ্জামান আদেল (দেয়াল ঘড়ি) ও শাহরিয়ার আহমদ (কবুতর), সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আরিফ আহমদ (বই) ও আবদুর রহমান (টেলিভিশন) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া সহ সাধারণ সম্পাদক পদে মো. খোকন উদ্দিন, ধর্ম সম্পাদক পদে ফয়সল আহমদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শামীম আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান টিপু এবং দপ্তর সম্পাদক পদে আবদুল ওয়াহিদ সুহেল খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ, ১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমা ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর মনোনয়ন বাছাই এবং ২৩ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেন।
মিরাপাড়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আহবায়ক এস এম আলী হোসেন বলেন, সিলেটের অন্যতম প্রাচীন এ সংগঠনের নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
এদিকে নির্বাচন পরিদর্শন করবেন সিলেটের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ আমন্ত্রিত বিশিষ্টজন। এবারে নির্বাচনে ৩৬৫ জন ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বিজ্ঞপ্তি