পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন ॥ জকিগঞ্জ উপজেলার ৫ ইউপিতে পুনরায় ভোট আয়োজনের দাবি

3

স্টাফ রিপোর্টার :
পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত জকিগঞ্জের ইউপি নির্বাচনে দুই কর্মকর্তার নেতৃত্বে পাঁচ ইউনিয়নেই জাল-জালিয়াতি হয়েছে অভিযোগ করে পুনরায় ভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পাঁচ প্রার্থী। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ‘নির্বাচনে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদমান সাকিব জকিগঞ্জ সদর, সুলতানপুর ও বারঠাকুরী ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আরিফুল হক বারহাল ও কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। নির্বাচনের দিন বিকেলে তারা দুজন সিলমারা ব্যালটসহ আটক হয়েছেন এবং পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নির্বাচন কর্মকর্তারা সবগুলো ইউনিয়নেই জালিয়াতি করেছেন দাবি করে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আরও বলেন, ‘আটক হওয়ার আগে দুই কর্মকর্তা তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে একইভাবে সিলমারা ব্যালট নিয়ে প্রবেশ করেছেন এবং নির্ধারিত প্রার্থীর পক্ষে সেগুলো সরবরাহ করেছেন। শেষ সময়ে তারা অনৈতিক এই কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণসহ আটক হয়েছেন। তাই, তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সবগুলো ইউনিয়নে জালিয়াতি হয়েছে বলে প্রমাণিত।’
এ কারণে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোট উপহার দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানপ্রার্থীরা ৫টি ইউনিয়নে পুনরায় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
তারা বলেন, ‘নির্বাচনের দিন নির্বাচনী অফিস থেকে দুই কর্মকর্তা ব্যালটে নৌকা মার্কায় ও তাদের পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে সীল দিয়ে দুই কর্মকর্তা ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের যে ভোটকেন্দ্রে গেছে সেখানে অন্তত ১০-১৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। এ সময়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে কড়াকড়ি আরোপ করতেও দেখা গেছে।’
‘যেখানে নির্বাচন কর্মকর্তা জালিয়াতির মাধ্যমে ভোট কাস্টিং করেছেন সেখানে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়নগুলোতে ভোটের বেসরকারি ফলাফল কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তাই, ঘোষিত নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল বাতিল ও পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছি। এটি জকিগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের দাবি।’- যোগ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হাসান আহমদ, বারঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদের মো. নাছির উদ্দিন (নছির), মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের মো. জাহাঙ্গীর শাহ চৌধুরী হেলাল, বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মাহতাব হোসেন চৌধুরী ও কসকনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ।