কাজিরবাজার ডেস্ক :
অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রীত্ব হারালেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান। সরকার ও দলকে চরম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ঠেলে দেয়ায় শুধু প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগই শেষ কথা নয়, তাকে দলীয় শাস্তির মুখোমুখি করা হতে পারে। এ ব্যাপারে চরম ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন ডাঃ মুরাদ হাসান।
বিতর্কিত মন্তব্য করায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মতো পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে মুরাদ হাসানকেও। বেফাঁস-বিতর্কিত মন্তব্য বা অনিয়ম করলে যত বড় নেতা বা মন্ত্রী হোন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে এ ব্যাপারে কঠোর ও অনড় অবস্থানেÑ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ডাঃ মুরাদ হাসানের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তা আবারও প্রমাণ হয়েছে। এর আগে ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় শুধু পূর্ণমন্ত্রীর পদ থেকেই নয়, আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্যপদ থেকেও পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
জানা গেছে, মুরাদ হাসানকেও দ্রুতই দলীয় শাস্তির মুখোমুখি করা হতে পারে। ইতোমধ্যে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ডাঃ মুরাদ হাসানকে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতারা জানান, আগামী কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ডাঃ মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। তাকে যদি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়, তবে সংসদ সদস্যপদও হারাবেন মুরাদ হাসান।
ডাঃ মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না, মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার কারও নেই। এ বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেব। গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আমরা যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাঁর (ডাঃ মুরাদ) বিরুদ্ধেও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের একটি সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনের পর তা রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পর মঙ্গলবার বিকেল মন্ত্রীপরিষদ সচিবের দফতরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। বিকেল ৩টায় প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তাঁর পক্ষে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রীপরিষদ সচিবের দফতরে জমা দেন। সচিবের পক্ষে তাঁর একান্ত সচিব মাহমুদ ইবনে কাসেম পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেন। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে পাঠানো পদত্যাগপত্রে তাঁর এই পদত্যাগকে ‘ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ’ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আমি অদ্য ৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। এমতাবস্থায় আপনার (প্রধানমন্ত্রী) নিকট বিনীত নিবেদন এই যে, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের লক্ষ্যে পদত্যাগপত্রটি গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি’।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানের বক্তব্য সরকার ও দলকে বিব্রত করেছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। সে অনুযায়ী ডাঃ মুরাদের স্বাক্ষর করা পদত্যাগপত্র ইতোমধ্যেই মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে জমা হয়েছে। বিষয়টা আসলে দুঃখজনক।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানের বেফাঁস মন্তব্যকে ঘিরে কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য নিয়েও তোলপাড় সৃষ্টি হয় সারাদেশে। এর মধ্যেই গত সোমবার ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি নোংরা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে তাঁকে হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তথ্য প্রতিমন্ত্রীর আপত্তিকর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মুরাদ হাসানকে মন্ত্রীসভা থেকে সরে যেতে বলেছেন। এরপর ওবায়দুল কাদের ডাঃ মুরাদ হাসানকে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়ে বলেন, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবারের মধ্যে পদত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে তাঁকে মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেয়া হবে সেটিও সাফ জানিয়ে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডাঃ মুরাদ হাসান।
বিতর্কিত মন্তব্যে আলোচনায় ডাঃ মুরাদ : সাম্প্রতিক সময়ে চরম আপত্তিকর, অশ্লীল মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাতনি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এই প্রতিমন্ত্রী এর আগেও এমন মন্তব্য করেছেন। এর মধ্যে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে তার কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হয়। সেখানে ওই নায়িকাকে অকথ্য ও নোংরা ভাষা বলতে শোনা যায়। এ নিয়ে তাকে মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেয়া কিংবা তার পদত্যাগের দাবিও উঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
এর আগে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের দাবি করে আলোচনায় আসেন মুরাদ হাসান। তখন বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ধর্মভিত্তিক দল ও সংগঠনগুলো তার সমালোচনা করলেও বামধারার দল, সংগঠন ও নাগরিক সমাজের অনেকেই প্রতিমন্ত্রীকে সমর্থন করেন। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাদের সম্পর্কে একের পর এক ব্যক্তিগত পর্যায়ের সমালোচনা করে আলোচনার জন্ম দেন মুরাদ হাসান। এরপর বিএনপি চেয়ারপার্সনের নাতনি সম্পর্কে মুদ্রণ অযোগ্য ভাষা ব্যবহার করলে সারাদেশেই এর ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
বেফাঁস ও আপত্তিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে নারী অধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার জবাবে ডাঃ মুরাদ হাসান বলেন, ‘কেউ কেউ অতিরিক্ত নারীবাদী। তাদের এমনটা ভাব, তারা যেন আমাদের মায়েদের বোনদের নারীসমাজকে কিনে ফেলেছে। অনেক লেখক কবি নারীবাদীরা আমাকে নারীবিদ্বেষী আখ্যা দিচ্ছে।’ ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বলতেই থাকব। তাতে আমার যাই হওয়ার হবে। এরপর একজন চিত্রনায়িকাকে হুমকি ও অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়ে পড়লে পুরো সরকারকেই চরম বেকায়দায় পড়তে হয়। পরে তাঁকে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগে বাধ্য হতে হয়।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরাও চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী খুব বাড়াবাড়ি এবং নারীদের সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। যা শিষ্টাচারের সীমারেখা অতিক্রম করেছে, সরকার এবং দলকে বেকায়দায় ফেলেছে। ফলে তাঁকে আর মন্ত্রীসভায় রাখার কোন সুযোগ ছিল না। এখন শুধু মন্ত্রীসভা থেকে নয়, খুব সহসাই মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হতে পারে।
শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডে সম্পৃক্তদের ন্যূনতম ছাড় দিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দল ও সরকারকে বিতর্কিত করলে তিনি যত বড় নেতা হোন না কেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অনড় অবস্থানে প্রধানমন্ত্রী। ইতোপূর্বে ধর্ম নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে শুধু মন্ত্রীসভার মন্ত্রীত্বই শুধু ছাড়তে হয়নি, দলের সভাপতিম-লীর সদস্যপদও কেড়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুরের মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার এবং আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলীকেও দল থেকে অব্যাহতি এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধেও দলের পক্ষ থেকে এমন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
মুরাদের অশ্লীল ভিডিও সরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের : এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে একদিনের মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানের অশ্লীল অডিও-ভিডিও অপসারণ করতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যোগাযোগমাধ্যম থেকে অডিও-ভিডিও সরাতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা আজ বুধবারের মধ্যে আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এদিন সকালে ডাঃ মুরাদ হাসানের অশ্লীল অডিও-ভিডিও অপসারণ করতে আদালতের দ্বারস্থ হন ব্যারিস্টার সুমন। তিনি আদালতে বলেন, জরুরীভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিওগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন। অপসারণ না করলে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা এ ধরনের গালাগালি এবং অশ্লীল কথাবার্তা শুনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিও দ্রুত সরাতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।
নিজ অফিস সাজানো হলেও বসতে পারলেন না ॥ গত ১০ দিন আগে শুরু হয়েছিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দফতর পুনরায় সাজানোর কাজ। করা হচ্ছিল নতুনভাবে ডেকোরেশন। কাজ শেষ হতে মাত্র একদিন বাকি। তার আগেই মঙ্গলবার পদত্যাগ করতে হলো প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসানকে। বিতর্কিত মন্তব্যের পর সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ডাঃ মুরাদ।
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে দেখা গেছে, নতুনভাবে সাজানো হচ্ছিল সবকিছু। কাজও প্রায় শেষের দিকে। ১০/১২ দিন আগে রুমটি নতুনভাবে ডেকোরেশন করার কাজ শুরু হয়েছিল। আজ বুধবারের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার কথা। কয়েকদিন আগে রুমটি পরিদর্শন করার সময় সুন্দরভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। কিন্তু নতুন করে সাজানো রুমটিতে আর বসা হলো না তাঁর। এর আগেই মঙ্গলবার বিতর্কিত মন্তব্য করে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করতে হলো তাঁকে।