কাজিরবাজার ডেস্ক :
৫ম ধাপে ৭০৭ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন আগামী বছর ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কমিশন সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুসারে ৭০৭ ইউপিতে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৭ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ ডিসেম্বর। আপীল করা যাবে ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং তা নিষ্পত্তি করা হবে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৭ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ করা হবে ৫ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ইউপির নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বাকি ইউপিগুলোতে মামলা জটিলতার কারণে আপাতত নির্বাচন করা যাচ্ছে না। এর আগে ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর দুই দফায় প্রথম ধাপের ৩৬৯টি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮৩৩টি ইউপি নির্বাচন। আর তৃতীয় ধাপে আজ ২৮ নভেম্বর রবিবার ১ হাজার ইউপিতে ভোট হচ্ছে। এ ছাড়া চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৬ ডিসেম্বর।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের বিষয়ে আগামী সপ্তাহের সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে আরেকটি কমিশন বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কবে নির্বাচন হবে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব নির্বাচন সম্পন্ন করার হবে বলে নির্বাচন কমিশন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র ও কাউন্সিলররা শপথ নেয়ার পর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। স্থানীয় সরকারের সিটি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদকাল হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর। আর ভোট করতে হয় ৫ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। এ হিসাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। আগের ১৮০ দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে ১১ আগষ্ট থেকে এবং তা শেষ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। তাই ৭ ফেব্রুয়ারির আগেই নির্বাচন শেষ করতে হবে।
নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, এনআইডি ডিজি একেএম হুমায়ুন কবীর, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ও জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান।