মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে বাণিজ্যিক ও শিল্প নগরী গড়ে উঠোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলার নারিকেলতলা হাওরে কৃষি ইনস্টিটিউট অনুমোদন হওয়ার খবরে চারদিকে আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। জগন্নাথপুর পৌর শহরের বুক চিরে আঁকাবাঁকা হয়ে বয়ে গেছে গভীর নলজুর নদী। নদীর এক পাশে মইয়ার হাওর ও আরেক পাশে নারিকেলতলা হাওর। মধ্যস্থানে রয়েছে সুনামগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক। উত্তরে রয়েছে জগন্নাথপুর পৌর শহর ও দক্ষিণে রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন। এখানে নদী ও হাওর মিলে একাকার হয়ে গেছে। যেন প্রাকৃতিক অপরূপ সৃষ্টি। সড়ক ও নৌপথ সহ অবকাটামো দিক থেকে সুবিধাজনক স্থান হওয়ায় মইয়ার হাওর ও নারিকেলতলা হাওর এখন সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এ দুই হাওরকে কেন্দ্র করে ছোট-বড় শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠার অপার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় বিশাল আয়তনের মইয়ার হাওরে সোনার ফসল হলেও বিগত প্রায় ৩ যুগ ধরে হাওরটি পলি মাটিতে ভরাট হয়ে গেছে। যে কারণে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। যদিও হাওরের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু মানুষ ছোট ছোট বাড়িঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। এছাড়া নারিকেলতলা হাওরের অধিকাংশ জমি এখনো আবাদ হলেও অনেক জমি ভরাট হয়ে গেছে। এ দুই হাওরের ভরাট হয়ে যাওয়া ৬ থেকে ৭ হাজার একর জমি যুগযুগ ধরে পতিত রয়েছে।
তবে গত কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্টায় নারিকেলতলা হাওরে ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষি ইনস্টিটিউট প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় রীতিমতো হইছই পড়ে গেছে। বড় বড় পুঁজিবাদী ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নজর পড়েছে এ দুই হাওরের জমির উপর। অনেকে মাস্টারপ্লান করছেন ছোট-বড় কলকারখানা নির্মাণের। তাই এসব হাওরে সুবিধাজনক স্থানে জমি কেনা-বেচা নিয়ে রীতিমতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। চারদিকে খোঁজ-খবর চলছে। খোঁজা হচ্ছে জমির মালিকদের। দেখা হচ্ছে জমির সঠিক কাগজপত্র। চলছে দামদর কষাকষি। এরই মধ্যে মাত্র কয়েক দিনের মাথায় জমির দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। জমির দাম যাই হোক এসব জমিতে শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠলে স্থানীয় বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বাণিজ্যিক ও শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে এ অঞ্চল। উন্নয়নের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে জগন্নাথপুর। ১০ অক্টোবর রবিবার বিভিন্ন জনের সাথে আলাপকালে এমন অভিমত ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন স্থানীয় জনতা।