হজ্ব নিবন্ধনের সময় শেষ বারের মত বাড়ানো হল

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলতি বছর হজ্ব গমনেচ্ছুদের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই সময় বাড়ানো হয়েছে। বুধবারই ছিল পূর্বঘোষিত সময়সীমার শেষ দিন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্ব পালনে আগ্রহী প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিদের জানানো যাচ্ছে, হজ্ব পালনে ইচ্ছুক, নিবন্ধনের জন্য পাসপোর্ট জমা প্রদানকারী অনেকে সরকারি ছুটির কারণে ব্যাংক থেকে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণ করতে পারেননি। ইতিমধ্যে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণকারী অনেকে টাকা জমা দিতে না পারায় নিবন্ধন করতে পারেননি। এমতাবস্থায় ২০২০ সালে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্ব পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধনের সুবিধার্থে হজ্বযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হল।
এতে আরও বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত সব প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিসহ হজ্বে গমনেচ্ছু যে কোনো ব্যক্তি নতুনভাবে একই সঙ্গে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করতে পারবেন।
অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক ৬ লাখ ৭২ হাজার ১৯৯ পর্যন্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আগে আসলে আগে নিবন্ধন করা হবে ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সুবিধার্থে আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে পাসপোর্ট দাখিল করতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্ব পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা শুধুমাত্র ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করবেন। আপাতত কোনো অবস্থাতেই এর অতিরিক্ত টাকা জমা দেয়া যাবে না। কোনো হজ্বযাত্রী এ পর্যায়ে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকার বেশি টাকা জমা দিলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো এজেন্সি নিবন্ধনের জন্য এর অতিরিক্ত টাকা দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। হজ্বযাত্রী নিবন্ধনের সময় গৃহীত অর্থ কোনো অবস্থাতেই এ পর্যায়ে হজ্ব কার্যক্রম বাবদ বাংলাদেশে ব্যয় করা যাবে না এবং সৌদি আরবেও প্রেরণ করা যাবে না। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ব্যতীত কোনো এজেন্সি ব্যাংক থেকে এ টাকা উত্তোলন করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপকগণকে এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করা হল।
গত ১ মার্চ থেকে হজ্বযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে হজ্ব নিবন্ধনের সময়সীমা ১৫ মার্চ পর্যন্ত বেধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। নিবন্ধনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মানুষ। এরপর তা ২৫ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার ১৯৮ জনসহ সর্বমোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়া কথা রয়েছে। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৪০৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১ হাজার ১৬ জন নিবন্ধন করেছেন।