বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার পদ্ধতি বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাই কমিশনের প্রতিনিধি দলের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় গ্রেটার ম্যানচেস্টার -এর পক্ষে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার পদ্ধতি নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে মত বিনিময় করেন। এ সময় সিসিকের বর্তমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ সময় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ^ব্যাপি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতি বৃষ্টি, খরা, মাটিতে লবনের অধিক্য দেখা দিচ্ছে। জলবায়ূর বিরূপ প্রভাবে গ্রামীন মানুষ প্রতিনিয়ত শহর-নগর মুখি হচ্ছেন। এতে নগরের বস্তি এলাকাগুলোতে জনসংখ্যার চাপ বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে বর্জ্য উৎপাদন। পাশাপাশি সচেতনতার অভাবে যত্রতত্র পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার ও অপসারণের ফলে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সিসিক বিশ^ ব্যাংকের অর্থায়নে দক্ষিন সুরমায় কেন্দ্রীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এরই মধ্যে সিসিক ক্লিনিক্যাল বর্জ্য আলাদা করে পরিশোধন করা হচ্ছে। যাতে পরিবেশ দূষন মুক্ত রাখা যায়। সিসিকের বস্তিবাসির জীবনমানের উন্নয়নে ইউএনডিপির প্রকল্প কার্যকর ভূমিকা পালন করছে বলেন মন্তব্য করেন সিসিক মেয়র।
প্রতিনিধি দলের প্রধান ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশনের ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিষয়ক সিনিয়র পরামর্শক জন ওয়ারবারটন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সিসিকের চলমান প্রকল্প সমূহের প্রশংসা করেন এবং প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার পদ্ধতি বাস্তবায়নে গ্রেটার ম্যানচেস্টারের আগ্রহের কথা জানান।
ঢাকাস্থ বিটিশ হাই কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্য বৃটিশ কাউন্সিলের বাংলাদেশের পরিচালক টম মিশোওশায়া বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবং ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যে ভাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই দুই সিটির মধ্যে শিক্ষা এবং সংস্কৃতি বিষয়ক একটি উৎসব আয়োজন করতে চান তারা।
পরে সিসিক মেয়র প্রতিনিধি দলকে নিয়ে সিসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখান। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিনিধি দলকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, প্রধান রাজম্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়. বৃটিশ কাউন্সিলের সিলেট সেন্টারের প্রধান মো. কফিল উদ্দিন চৌধুরী, কনসালটেন্ট মনির আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হানিফুর রহমান, চীফ এসেসর চন্দন দাশ, মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব সোহেল আহমদ, জনমসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মো.মুহিবুল ইসলাম ইমন, ব্রিটিশ হাই কমিশনের এফসিডিও আনোয়ারুল হক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি