কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কানাইঘাট সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র আশরাফ শামীম (১৯) এর মর্মান্তিক মৃত্যুসহ আরো ২ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বানীগ্রাম ইউপির কুদরত উল্লাহ’র দোকানের পাশে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাণীগ্রাম ইউপির বড়দেশ খালপার দক্ষিণ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা নাসির আহমদের পুত্র আশরাফ শামীম মোটরসাইকেল ড্রাইভিং করে একই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের পুত্র কানাইঘাট সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মওদুদ আহমদ (১৯) বড়দেশ নয়াগ্রামের বাবুল আহমদের পুত্র সিলেট একটি প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মুহিবুর রহমান (১৯) কে সাথে নিয়ে গাছবাড়ী বাজারের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কুদরত উল্লাহর দোকানের পাশে আসা মাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি অটোরিক্সা সিএনজি-কে অভারটেক করার সময় রাস্তার পাশে রাখা একটি ট্রাক্টরের পিছনে মোটর সাইকেলটি সজোরে ধাক্কা লাগলে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থী আশরাফ শামীমের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তার সাথে থাকা আহত কলেজ শিক্ষার্থী মওদুদ আহমদ, মুহিবুর রহমানকে আশংকাজনক অবস্থায় সিওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আশরাফ শামীমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ কোনো ধরনের ময়না তদন্ত ছাড়াই গতকাল শনিবার রাত ৮টায় জানাযা শেষে পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে। এদিকে কলেজ শিক্ষার্থী আশরাফ শামীম মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কানাইঘাট সরকারী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকার শোকাহত লোকজন হাসপাতালে ভিড় জমান, এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। খবর পেয়ে হাসপাতালে নিহত আশরাফ শামীমের লাশ দেখতে যান উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) লুসি কান্ত হাজং, কানাইঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ, ৭নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপি’র চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ। পুলিশ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত হিসেবে ট্রাক্টর গাড়ীটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
