জন্মদিনে দলের পক্ষে শুভেচ্ছা জানালেন ওবায়দুল কাদের ॥ রেহানা বড় বোনকে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এক কঠিন এবং সংগ্রামী জীবন-যাপন করেছেন তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এদের মধ্যে নির্মোহ ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব শেখ রেহানা সরাসরি রাজনীতিতে না এলেও বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন। সোমবার সংসদ ভবন এলাকার তার সরকারী বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপনের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সাদামাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত শেখ রেহানা লন্ডনে মেট্রো ও বাসে যাতায়াত করেন। চাকরি এবং পরিশ্রম করেই সন্তানদের মানুষ করেছেন তিনি। শেখ রেহানার সন্তানরা আজ আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গঠন করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সদস্য জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ রেহানার ত্যাগ, প্রেরণা এবং অন্তহীন সাপোর্টে দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক। রত্নাগর্ভা মা শেখ রেহানার বড় ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেন এবং কনিষ্ঠকন্যা আজমিকা সিদ্দিক রূপন্তি লন্ডনে গ্লোবাল রিস্ক এ্যানালাইজার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, সঙ্কটে-সংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা, প্রেরণা ও শক্তির উৎস। ঠিক তেমনি শেখ রেহানাও পর্দার আড়াল থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন বড় বোন শেখ হাসিনাকে। বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, শেখ রেহানাও সে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বড় বোন শেখ হাসিনার জীবনে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রচারবিমুখ শেখ রেহানা কখনও লাইম-লাইটে আসেন না। দেশ জাতি এবং গণতন্ত্রের জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার হৃদয়জুড়ে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অদম্য স্বপ্ন। আজকের এই শুভক্ষণে আবারও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার প্রতি অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা।
ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির বর্তমান রাজনীতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। যারা স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের সঙ্গে হাত মেলায়, তারা কখনও সার্বভৌমত্বের রক্ষক হতে পারে না।
বিএনপি নেতাদের সীমান্ত নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) ভুলে গেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। বিএনপি মুখে ভারত বিরোধিতার ফেনা তুললেও ভারতের সঙ্গে নতজানু অবস্থান নিয়েছিল, যা তাদের সময়কালে দেশবাসী দেখেছে।
শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও কূটনৈতিক দক্ষতায় বহুবছরের পুরনো ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত সমস্যা আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে কোন সমস্যার সমাধানতো করতে পারেইনি, বরং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দেয়াল তুলেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙ্গে তৈরি করেছে সম্পর্কের সেতুবন্ধন। সীমান্ত সমস্যাকে জিইয়ে রেখে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছিলেন, যারা ভারত সফরে গিয়ে পানি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন, ভারতে সরকার পরিবর্তনের পর যারা ভারতীয় দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন- তার চেয়ে নতজানু নীতি আর কী হতে পারে?’
আওয়ামী লীগের হাতেই এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করে বলেন, সীমান্তে হত্যাকান্ডের বিষয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে। ভারত সরকার কথা দিয়েছে সীমান্তে আর হত্যাকা- ঘটবে না। আমরা আশা করি, ভারত সরকার এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।