স্টাফ রিপোর্টার :
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এটি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ভারতে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে অন্যান্য নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেট। তবে এই সময়ে সুরমা, সারি, মনু, খোয়াই ও ধলাই নদীর পানি কমেছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট স্টেশনে ৫ সেন্টিমিটার, সিলেট স্টেশনে সেন্টিমিটার ও সুনামগঞ্জ স্টেশনে ৩ সেন্টিমিটার কমেছে। কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ স্টেশনে ৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে, শেরপুর স্টেশনে ২ সেন্টিমিটার কমেছে। গোয়াইনঘাটের সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাট স্টেশনে ৪ সেন্টিমিটার কমেছে।
এদিকে মৌলভীবাজারের মনু নদীর পানি রেলওয়ে ব্রিজ (আর.বি) স্টেশনে পানি ৪৮ সেন্টিমিটার ও মৌলভীবাজার স্টেশনে ২৭ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। ধলাই নদীর পানি কমলগঞ্জ স্টেশনে ১৭ সেন্টিমিটার কমেছে। খোয়াই নদীর পানি বাল্লা স্টেশনে ২০ সেন্টিমিটার এবং হবিগঞ্জ স্টেশনে ২০ সেন্টিমিটার কমেছে। এছাড়া, পুরাতন সুরমা নদীর পানি দিরাই স্টেশনে ৪ সেন্টিমিটার কমেছে।
সিলেটের আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী- গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার (সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) ৩৬ ঘন্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে দশমিক ৬ মিলিমিটার। গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটের লালাখালে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, লালাখালে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সময়ে ভারতের জলপাইগুড়ি স্টেশনে ১৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, কুশিয়ারা নদী ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতে গতকাল ১২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই একদিনের মধ্যেই পানি নেমে যাবে। এছাড়া অন্যান্য নদীর পানি বাড়ার কোনো পূর্ভাবাস নেই। এমনকি বড় ধরণের বন্যার হওয়ারও কোনো পূর্বাভাস নেই।