দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নাশকতা সহ আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখার অজুহাতে গত কয়েক দিন ধরেই চলছে ধরপাকড়। প্রত্যন্ত এলাকায় র্যাব-পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনের এক দিন আগে অভিযান অব্যাহত থাকবে এমন শংকায় তিন ধরেই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ধানের শীষের কর্মী, সমর্থক ও নেতারা বর্তমানে গ্রেফতার আতংকে বাড়ী ঘর ছেড়ে অন্যত্র রাত কাটাচ্ছেন। গত তিন দিনে বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েক জন হেভিওয়েট নেতাদের আটক করেছে পুলিশ। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনের এক দিন আগে ছাতক উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির মিটিং চলাকালে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি-২৩ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী বিশেষ সহকারী দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপি নেতা তাইবুর রহমান কে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক ও বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল, শুক্রবার উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ কে আটক করেছে পুলিশ। অন্য দিকে গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কয়েক জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শাহজাহান মাস্টার জানিয়েছেন, বিএনপি ও জোটের নেতা কর্মীরা গ্রেফতার আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উপজেলার একাধিক দায়িত্বশীলসহ গণহারে গ্রামে গ্রামে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ৩০ তারিখ ধানের শীষের ভোট বিপ্লব প্রতিহত করতেই তারা গ্রেফতারসহ সহ নানা ভাবে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা আটক নেতা কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি চাই। এবং সাধারণ ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে দাবি জানাই।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশীল রঞ্জন দাস বলেছেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গন, নাশকতার অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। নির্বাচন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইন শৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।