কাজিরবাজার ডেস্ক :
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো দেশটির ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়নি। দেশটির অনেকের হাতেই নগদ অর্থ নেই।
এ ব্যাপারে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মী তালেবানের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান,কারো কাছে নগদ অর্থ নেই। অনেক পরিবারেরই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই। ব্যাংকে নগদ অর্থের মজুদ না থাকায় অনেকের চেকও ব্যাংকে আটকে আছে।
সবকিছু মিলিয়ে আফগানিস্তানে মারাত্মক অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের অর্থনীতি বৈদেশিক মুদ্রা আর আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। কিন্তু কাবুলে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের পর সেসব বন্ধ হয়ে গেছে। যা দেশটির অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনুদান থেকে পাওয়া অর্থ দিয়েই আফগানিস্তানের মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ মেটানো হয় বলে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে।
তালেবান দুদিন আগেই আফগানিস্তানের ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু নগদ অর্থ না থাকায় ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ আছে বলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে।
এই বিষয়গুলো আফগানিস্তানের ব্যাংকিং খাত চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।