নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ উপজেলায় হাওরে বোরো ধান কাটা (৭৪ থেকে ৭৮ ভাগ) প্রায় শেষ পর্যায়ে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হবে।
ফসলের ন্যায্যমূল্য পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। নবীগঞ্জের বিভিন্ন হাওর ঘুরে এই চিত্র লক্ষ করা গেছে।
হাওরাঞ্চলের নীচু অঞ্চলের কৃষকদের সারা বছরের একমাত্র ফসল হচ্ছে বোরো ধান। আগাম বন্যা কিংবা শিলাবৃষ্টিতে তাদের কষ্টের ফসলের যেন আর কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। সর্বত্র ধান কাটা, মাড়াই ও ধান সেদ্ধ করে শুকানোর ব্যস্ততা। কোথাও কৃষি শ্রমিক, কোথাও আবার সরকারের ভর্তুকি দেওয়া কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে। ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে গোলায় তোলা হাওরাঞ্চলে কৃষকদের ঘরে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিট শক ও শিলাবৃষ্টিতে হাওরাঞ্চলের বোরো ধানের ক্ষতি হলেও নবীগঞ্জে তেমন কোন ক্ষতি না হওয়ায় বেশিরভাগ হাওরে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি। কৃষকরা মাঠে ধান বিক্রি করছেন প্রতি মণ ৭০০-৮০০ টাকা। ধান কাটার শুরুতেই দাম ছিল প্রকারভেদে প্রতিমণ ৮৫০-৯০০ টাকা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে নবীগঞ্জ উপজেলায় ১৮ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাওরাঞ্চল(নীচু এলাকায়) ৫ হাজার ৫৬৫ শত হেক্টর জমিতে ও হাওরাঞ্চল (উঁচু এলাকায়) ১২ হাজার ৭২০ শত হেক্টরে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। উপজেলায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭৪ হাজার মেট্রিক টন।
নবীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শৈলেন কুমার পাল জানান, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সময়মতো সঠিক পরামর্শ দেওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হাওরাঞ্চলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এব্যপারে নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.কে.এম মাকসুদুল আলম বলেন, এবৎসর আমার এলাকায় গরম হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে তেমন কোন ক্ষতি না হওয়ায় হাওরাঞ্চলে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদিত হবে।