কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালদ্বীপে আটকা পড়া ৩০০ জন বাংলাদেশি দুটি বিশেষ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন। বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের দুইটি আলাদা ফ্লাইট তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।
আমিরাত ও মালদ্বীপ থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরার তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ইউএস-বাংলা। বেসরকারি বিমান সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বার্তায় জানানো হয়, কোভিড-১৯ এর কারনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও মালদ্বীপের রাজধানী মালে থেকে ফিরিয়ে আনলো ইউএস-বাংলার দুইটি বিশেষ ফ্লাইট।
বৃহস্পতিবার দুবাই থেকে ১৪০ জন যাত্রী নিয়ে দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে এবং মালে থেকে ১৬০ জন যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বেসরকারি বিমান সংস্থাটি জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মাল্লীপে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইউএস-বাংলার বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে বিশেষ ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করেছে। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে গত প্রায় চার মাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক বাংলাদেশি আটকে আছে। বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালদ্বীপ সরকারের সহযোগিতায় দুবাই ও মালে থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনলো ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
ইতিমধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মালে ও দুবাই ছাড়াও কোভিড-১৯ সময়কালীন চেন্নাই, কলকাতা, দিল্লি, লাহোর, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, আবুধাবি ও ইউরোপের অন্যতম গন্তব্য ফ্রান্সের প্যারিসে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
ইউএস বাংলা জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ মহামারিকালীন সময়ে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ও বিদেশী নাগরিকদের নিজ দেশে পৌঁছে দিতে ৫৫টি স্পেশাল ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। করোনা মহামারিকালীন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের কারণে বর্তমানে ইউএস-বাংলা শুধুমাত্র ঢাকা থেকে গুয়াংজু রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বর্তমানে ইউএস-বাংলা অভ্যন্তরীণ রুট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, বরিশাল ও রাজশাহীতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।