জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুর উপজেলায় মোশারফ হোসেন (৫৩) নামের এক হেলথ ইন্সপেক্টরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের কদমখাল কেন্দ্রী হাওর গ্রামের নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে ওই হেলথ ইন্সপেক্টরের গলায় গামছা প্যাঁচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মোশারফ হোসেন হেলথ ইন্সপেক্টর হিসেবে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার ছিলেন। তার নিজ বাড়িতে বসবাসের জায়গা কম থাকায় সে তার বাড়ির পাশে আব্দুর রফিক ভুট্রুর টিন সেট ঘরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। গত রবিবার রাত ১১টায় রাতের খাবার শেষে স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা সাথী ও মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়েন। পাশের রুমে ছেলে রফিকুল হক ঘুমিয়ে পড়ে। সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল অনুমান ৯টায় স্ত্রী সন্তান ঘুম থেকে উঠে দেখেন নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় মোশারফ হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার দেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে দেখতে পায়। স্থানীয়রা ধারণা করছেন রাত ১২টার পর থেকে ৯টার মধ্যবর্তী যে কোন সময় সে নিজে আত্মহত্যা করেছে। জনপ্রতিনিধিরা পুলিশকে অবহিত করায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মোঃ আব্দুল্লাহ (২৩) নিহতের ছেলে রফিকুল হক (১৬) আমির হোসেন (৩৬) ও জাহাঙ্গীর আলম (৩৪) বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্য মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা গোলাম দস্তগির আহমেদ জানান, আত্মহত্যা নাকি হত্যা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েয়ে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।