লিডিং ইউনিভার্সিটিতে সেমিনারে ড. কাজী খলীকুজ্জামান ॥ টেকসই উন্নয়ন করতে হলে দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে

7

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১১ জুলাই ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন এবং আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে Sustainable Development in Bangladesh  শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ।
লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা, বিশেষ অতিথি হিসেবে ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই উপস্থিত ছিলেন।
টেকসই উন্নয়ন করতে হলে দরিদ্র মানুষের কাছে পৌছাতে হবে এরং তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে উল্লেখ করে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, সবাইকে একসাথে কাজ করে সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। সমাজ ব্যবস্থাপনায় সবার মর্যাদা, মানবতা এবং মৌলিক অধিকার থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, কৃষিকে যান্ত্রীকীকরণ করতে হবে। সাথে সাথে মনে রাখতে হবে যাতে বেকারত্ব বেড়ে না যায়, আর সেই জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে গ্রামীণ অর্থনীতি হলো বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার মূল ভিত্তি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্মরণ করে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অর্থনীতিবিদ বলেন, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ করে তা আগামী প্রজন্মকে ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টেকসই উন্নয়নের বিষয়গুলো সম্পৃক্ত করে এ লক্ষ্যগুলো নিয়ে কাজ করার নৈতিক ভিত্তি শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌছাতে হবে। তাদেরকে বুঝাতে হবে যে মানুষের জন্যই হলো এ উন্নয়ন এবং এতে অগ্রগতি আনতে তাদের অবদান রাখতে হবে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে অনলাইন সেমিনার আয়োজন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও সেমিনারের আয়োজন করার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে মূল ভিত্তি এবং অন্যতম আয়ের উৎস কৃষি বিকাশের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া এবং সময়সাপেক্ষী বিষয়ে জ্ঞানার্জন ও সামাজিক দায়িত্ববোধের মাধ্যমে এসডিজির চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া এবং ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করা প্রয়োজন। তিনি আজকের এ সেমিনারে এসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদকে ধন্যবাদ জানান।
উপাচার্য ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সর্বজনীন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলি (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের পদক্ষেপ প্রতিশ্রুতিশীল দেশগুলোর মধ্েয একটি। আজকের এই ওয়েবিনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং সকল স্টেকহোল্ডারকে এসডিজি বুঝতে এবং তাদের টেকসই কৃষি বিকাশের সাথে সম্পর্কিত করতে সহায়তা করবে।
সেমিনারে কী-নোট স্পীকার হিসেবে “Enabling Physical Environment for Sustainable Agriculture Subsector: A Study using GIS”  বিষয়ে ড. সৈয়দা খালেদা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন কৃষি ক্ষেত্রে সেবা প্রদানে জিআইএস টেকনোলজির ব্যবহার গুরুত্ব উল্লেখ করে পেপার উপস্থাপন করেন, এবং “Sustainable Enterprise Development in Agricultural Sector: Application of Triple Bottomline Approach in Bangladesh Perspective”  বিষয়ে ড. শামিম আহমেদ অতিরিক্ত উপ-পরিচালক, হর্টিকালচার উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নে কৃষি সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিকরণের গুরুত্ব ও কৃষি উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব উল্লেখ করে পেপার উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সৈয়দা জেরিনা হোসেইন এবং অনুষ্ঠানের শেষাংশে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সচিব মেজর (অব.) শায়েখুল হক চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো শাহ আলম, পিএসসি, প্রক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকতাবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি