মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বয়স তাদের ৪২ দিন। ছানাগুলো একত্রে থাকতে থাকতে কিছুটা বড় হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে তারা নিজ থেকে খাবার খেতে শিখে গেছে। মাংসের থালা থেকে টুকরো টুকরো মাংসগুলোকে মুখে নিয়ে অনায়াসে খেতে পারছে।
চলতি বছরের ১৬ জুলাই রাত থেকে অজগর ছানাগুলো ডিম থেকে ফুটতে শুরু করে। সর্বপ্রথম পাঁচটি অজগর ছানা চোখ মেলেছিল। পরদিন সকাল পর্যন্ত এসব ডিম থেকে একে একে বাচ্চাগুলো পৃথিবীর আলো দেখতে শুরু করে। এর আগে ৮ জুন রাতে একটি অজগর সাপ ৩০টি ডিম দেয়।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন নিবিড় পরিচর্যা, নিষ্ঠা আর আন্তরিকতার সঙ্গে অজগর ছানাগুলোকে বড় করে ফিরিয়ে দিয়েছে সবুজ প্রকৃতিতে।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, গত ২৪ আগষ্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন এমপি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করার সময় ১২টি অজগর ছানা অবমুক্ত করেছিলেন। অবশিষ্ট ৬টি অজগর ছানা সাতছড়ি জাতীয় উদ্যোনে ২৭ আগষ্ট সন্ধ্যায় অবমুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, আমাদের খুব আনন্দ লাগছে যে, অজগর ছানাগুলোকে আমরা সবুজ প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। আহত বন্যপ্রাণীগুলো সেবাশুশ্রুষার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করার পাশাপাশি বিপন্ন প্রাণীর সফল প্রজনন ও পরবর্তীতে সেসব বন্যপ্রাণীর ছানাকে বড় করে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজটি আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করে চলেছি।
সব সময় তাদের এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান সজল।