কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কোন সিদ্ধান্তের দ্বিমত পোষণ করলেই নেতাদের কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি পেতে হয়। কমিটির মধ্যে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। একপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্তকে গঠনতান্ত্রিক দাবি করলেও অপরপক্ষ এসব সিদ্ধান্তকে দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী দাবি করেন। একপর্যায়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে অব্যাহতি প্রদানকারী নেতাকে পুনর্বহাল করা হচ্ছে। এমন হ-য-ব-র-ল সাংগঠনিক কার্যক্রমের মধ্যে চলছে জেলা বিএনপির অধীনে বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠন প্রক্রিয়া।
সর্বশেষ গত ১৪ আগষ্ট জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হেলু মিয়াকে অব্যাহতি প্রদান করে দলীয় প্যাডে বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম. নাসের রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রেরিত কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দলীয় গঠনতন্ত্রবিরোধী, অযাচিত, অবৈধ ও শিষ্ঠাচার বহির্ভূতভাবে জেলা কমিটিকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন হেলু মিয়া। যা দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী। তাই হেলু মিয়াকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হেলু মিয়া বলেন, জেলার পদধারী নেতাকে জেলার সভাপতি ও সম্পাদক কিভাবে অব্যাহতি দিতে পারেন? এটা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি। আমার ওপর আনীত নির্দেশনার প্রতিকার চেয়ে কেন্দ্রের স্মরনাপন্ন হব শিঘ্রই। এবং তা প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম. নাসের রহমান। পরে একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জেলা সভাপতির নির্দেশিত অব্যাহতিপত্র প্রত্যাখ্যান করে ওয়ালী সিদ্দিকীকে স্বপদে বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম. নাসের রহমানের মোবাইল ফোনে কল দিলে উনার ব্যক্তিগত সহকারী শাহাজাহান সিরাজ কলটি রিসিভ করেন এবং বলেন, ‘স্যার মিটিংয়ে আছেন, আলাপ করতে পারবেন না।’
তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘আমরা জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে হেলু মিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছি, যা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রে অব্যাহতিপত্রটি অনুমোদন হলে তা গণমাধ্যমে জানানো হবে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জেলা বিএনপির নেতৃত্ব এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা দলীয় গঠনতন্ত্র মেনেই হয়েছে।