বড়লেখায় পল্লী বিদ্যুতের ইচ্ছে মতো বিল আদায়, ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রাহকরা

5

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গ্রাহকদের কাছ থেকে ইচ্ছে মতো বিল আদায় করছেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। মিটার রিডিং না দেখে গ্রাহকদের স্বাভাবিক বিলের চাইতে দুই-তিনগুণ বেশি টাকা ধরে বিল তৈরি করে দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ। এতে লকডাউনের এই কঠিন সময়ে গ্রাহকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
গ্রাহকদের অভিযোগ, করোনাকালে বাড়তি বিল চাপিয়ে দিয়ে রীতিমতো তাদের ‘গলা কাটছে’ পল্লী বিদ্যুৎ। অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক (বড়লেখা) কার্যালয়ে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না তারা। উল্টো তারা নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এতে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
এদিকে, করোনার ঊচ্চ ঝুঁকির সময়েও লকডাউন নীতিমালা উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করছে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গেল কয়েকমাস থেকে বড়লেখা পল্লী বিদ্যুৎ (সমিতি) কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের অতিরিক্ত বিল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটারে রিডিংয়ে ইউনিট কম থাকলেও তাদের বিলের কাগজের সঙ্গে তা মিলছে না। রিডাররা যথাযথভাবে মিটার না দেখে মনগড়া বিল তৈরি করছেন। তাদের গাফিলতির কারণে অতিরিক্ত বিল দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
করোনাকালে অতিরিক্ত বিল সাধারণ গ্রাহকদের পক্ষে পরিশোধ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযোগ করেও তারা কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না। উল্টো তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে তারা অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করছেন।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এমাজ উদ্দিন সরদার মুঠোফোনে বলেন, কারও কারও কিছু বিল একটু বেশি এসেছে। আমাদের কার্যালয়ে যারা অভিযোগ করছেন, তাদের সমস্যা আমরা সমাধান করে দিচ্ছি। এরপরও কারও সমস্যা থাকলে আমাদের কার্যালয়ে আসলে আমরা সমাধান করে দেব।
লকডাউনের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, জুন হচ্ছে অর্থবছরের ক্লোজিং মাস। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হয়েছে। তাছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন চলছে। এজন্য গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসে এসে বিল দিতে পারছেন না। তাই পল্লী বিদ্যুতের লোকজনকে বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে বকেয়া বিদ্যুৎ আদায় করা হয়েছে।