মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
সারাদেশে সরকারঘোষিত সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের প্রথম দিনে কঠোর অবস্থানে ছিলো মৌলভীবাজারের প্রশাসন। কিন্তু এই লকডাউনেও জেলার বিভিন্ন স্থানে আইন অমান্য করে কিছু মার্কেট-শপিংমল খোলা রাখাসহ অন্যান্য অপরাধে ১৬৭ জনকে প্রায় ৯০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও আদায় করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে আইন অমান্য করে মার্কেট-শপিংমল খোলা রাখা, গণপরিবহন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা ও সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ২৫(১)(খ) ধারামতে ১৬৭জন ব্যক্তিকে মোট ৮৯ হাজার ৯শত টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও আদায় করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণ ও জেলা প্রশাসন, মৌলভীবাজার এর সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
এছাড়াও জুড়ীতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় একজনকে সাময়িকভাবে আটক করে রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
লকডাউনের প্রথম দিন সকাল থেকেই জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারদের নিয়ে সারা শহর মনিটরিং করেন।
ভোর থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। অতি জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় এসে যানবাহন না পেয়ে বিপাকেও পড়েছেন অনেকে। হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে অনেককে।
সকালে কুসুমবাগ পয়েন্ট, চৌমুহনা পয়েন্ট, রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়। রোগী ও জরুরী পরিবহন ছাড়া অন্য যেকোনো পরিবহনকে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, জেলায় পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ ১৪টি টিম মাঠে কাজ করছে। আমি নিজেও আছি মাঠে। ২১ দফা নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কিছু বন্ধ রেখেছি। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এবং সকল বিধিনিষেধ কার্যকর করার চলমান আছে।