বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরের রাজনীতিতে সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকে নিরুৎসাহিত করে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতর দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম চলবে কি না তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত হবে। ক্যাম্পাসের বাইরে ইতিবাচক রাজনীতি করতে শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত বক্তব্য পাঠানো হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সই করা ওই বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি এবং রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকন্ঠার বিষয়টি আমরা বিশেষভাবে অবগত। ট্রাস্টের অধীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি সেশনজট মুক্ত অলাভজনক, অরাজনৈতিক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বক্তব্যে বলা হয়, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কী নিয়ম করলো, কোন রাজনৈতিক দলের কী ব্যবস্থা হলো সেটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের বিষয়। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঠিক করে না। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপও করে না। দলীয় রাজনীতি থাকবে কি না তা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এ বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাই। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট ও রাজনৈতিক সংঘাত মুক্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশ-বিদেশে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে আস্থা ও সুনাম অর্জন করেছে।
তে আরও বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকে নিরুৎসাহিত করে না। তবে ক্যাম্পাসের ভেতর দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম চলবে কি না তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত হবে। উপাচার্যরা শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুন বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবেন। ক্যাম্পাসের বাইরে ইতিবাচক রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিসি, শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদর লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সবাই যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।