স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক লকডাউনের পঞ্চম দিনে নগরীর রাস্তাঘাটে রিক্সা চলাচল বেড়েছে। বেশ কিছু সিএনজিচালিত অটোরিক্সাও চলতে দেখা গেছে, বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও।
গতকাল রবিবার নগরী জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড়, রিকাবিবাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। তবে যান ও পথচারী চলাচল নিয়ন্ত্রণে তৎপর রয়েছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও। কয়েকটি স্থানে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে যান বাহন আটক করার দৃশ্য দেখা গেছে।
নগরীর বন্দরবাজার, কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় তল্লাশি চৌকিতে প্রত্যেকটি যানবাহন থামিয়ে মুভমেন্ট পাস আছে কিনা জানতে চাইছেন পুলিশ সদস্যরা। যারা পাস দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকে পড়তে হয়েছে পুলিশি জেরার মুখে। এক পর্যায়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাড়া অন্যদের ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া বাসার বাইরে না আসতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।
এদিন মহানগরের শহরে সবকটি কাঁচাবাজার, মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও অন্যন্য দিনের মতো নগরীর বিপনীবিতান, মার্কেটসহ সকল ফ্যাশন হাউজ বন্ধ রয়েছে। তবে নগরীতে আগের ৪ দিনের তুলনায় মানুষের আনাগোনা অনেক বেশি দেখা গেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা মুদিদোকানের পাশাপাশি অর্ধেক সাঁটার খোলে অন্যান্য দোকান এবং একই সাথে ভ্রাম্যমান ব্যাবসায়ীদেরও সড়কে বসে ব্যবসা করতে দেখা গেছে। এতে বেড়েছে মানুষের আনাগোনা বা চলাচল।
এছাড়া পাড়া-মহল্লা ও অলি-গলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সকল দোকান খুলেছে। এসব দোকানে বিভিন্ন পণ্য কিনছেন অনেকেই। এর বাইরে অনেককেই দেখা গেল কৌতুহলবশত: বাসার বাইরে বের হতে বা ঘুরতে। এদিকে এসব আবাসিক এলাকার অধিকাংশ দোকানপাটই ছিল খোলা।