দুই ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

9

স্টাফ রিপোর্টার

দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম সাইস্তা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ল²ীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহতাব উদ্দিন জেবুলকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯’র সদস্যরা। সোমবার দুপুরে ও রবিবার সন্ধ্যায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
র‌্যাব জানায়, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ এর একটি টিম সোমবার দুপুরে মোগলাবাজার ইউপি কার্যালয় থেকে মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম সাইস্তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি মশিহুর রহমান সোহেল। গ্রেফতারকৃত সাইস্তা মোগলাবাজার ইউনিয়নের নৈখাই গ্রামের ইসহাক আলীর ছেলে।
২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর সিলেট জেলার ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মোগলাবাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ফখরুল ইসলাম সাইস্তা নৌকার প্রার্থী ছদরুল ইসলামকে হারিয়ে বিজয়ী হন।
পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ল²ীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহতাব উদ্দিন (জেবুল)-কে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়কে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯। গ্রেফতারকৃত মাহতাব উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার ল²ীপাশা ইউনিয়নের বাসিন্দা। ইউপি চেয়ারম্যান জেবুল ছাত্র-আন্দোলনের সময় গোলাপগঞ্জে গুলিতে নিহত কিশোর সানি আহমদসহ (১৮) একাধিক হত্যা মামলার আসামি। এদিকে গ্রেফতারকৃত চেয়ারম্যান জেবুলকে রবিবার সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট সিলেটের গোলাপগঞ্জে পুলিশ, বিজিবি ও আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলা ও গুলিতে মারা যান ৭ জন। এর মধ্যে একজন গোলাপগঞ্জের রায়গড় গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে সানি আহমদ। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানা ও আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে সানিসহ কয়েকটি মামলায় ল²ীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহতাব উদ্দিন (জেবুল)-কে আসামি করা হয়। মামলার পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। তবে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসে ইউপি কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। পরে রবিবার তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৯।