কাজিরবাজার ডেস্ক :
সৌদি প্রবাসীদের বাতিল হওয়া ফ্লাইটের টিকিট পাওয়া নিয়ে প্রবাসী কর্মীদের দুর্ভোগ কাটছেই না। ভুক্তভোগী প্রবাসী কর্মীদের অনেকের ভিসার মেয়াদ কিংবা ফ্লাইটের নির্ধারিত দিনক্ষণ শেষ হতে চললেও অধিকাংশের কপালে টিকিট জুটছে না।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে টিকিট কনফার্ম করতে প্রবাসী কর্মীরা রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের অফিসের সামনে এবং মতিঝিলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অফিসের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন। তবে কবে তাদের টিকিট দেয়া হবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। ফলে দুর্ভোগ যেন কাটছেই না প্রবাসীদের।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে চার দিনের সৌদিগামী ফ্লাইট বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) মধ্যপ্রাচ্যের চারটি ও সিঙ্গাপুরের একটিসহ মোট পাঁচটি দেশে বিশেষ ফ্লাইটে প্রবাসী কর্মীদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
শনিবার থেকে এসব ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করেনি সৌদি এয়ারলাইন্স। ল্যান্ডিং পারমিশন না হওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সেরও একাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়।
এই কারণে তিনদিন ধরে সৌদি প্রবাসীরা (শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার) কারওয়ান বাজারে সৌদিয়ার অফিস এবং মতিঝিলের বিমান অফিসে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে সৌদি প্রবাসীরা সৌদিয়ার অফিসের সামনে টিকিটের জন্য ভিড় করতে থাকেন। সৌদিয়া থেকে জানানো হয়, বাতিল হওয়া ১৪ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফ্লাইটের টিকিট আজ দেয়া হবে। সে হিসেবে প্রথমে ১৪ তারিখের টিকিট দেয়া শুরু হয়। কিন্তু সকালে টিকিট দেয়া শুরুর পাঁচ মিনিট পরেই প্রবাসীদের মধ্যে হইচই শুরু হয়।
গত বছর টোকেন নিয়ে যাদের ফ্লাইট আগে তাদের টিকিট আগে দেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও এবার তা না থাকায় অনেকে সিরিয়াল ভেঙে তদবির করে আগেই টিকিট নিয়ে যাচ্ছেন এমন অভিযোগে প্রবাসীরা হইচই শুরু করেন। একই অবস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মতিঝিলের কার্যালয়েও দেখা যায়।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম তৌহিদুল আহসান বলেন, আজ (রবিবার) রাত ১২টা পর্যন্ত সৌদি এয়ারলাইন্স এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ মোট ১২টি ফ্লাইটের শিডিউল রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট বাতিলের খবর তার কাছে নেই। ল্যান্ডিং পারমিশনজনিত জটিলতা কেটে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।