১৮ বছরের বেশি বয়সি যে কেউ নিজের পছন্দমতো ধর্ম বেছে নিতে পারবে -ভারতের সুপ্রিমকোর্ট

17

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রাপ্তবয়স্ক তথা ১৮ বছরের বেশি বয়সি যে কেউ নিজের পছন্দমতো ধর্ম বেছে নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিমকোর্ট।
শুক্রবার ব্ল্যাক ম্যাজিক ও ধর্মান্তর নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দিতে করা এক পিটিশন প্রসঙ্গে এ কথা বলেন বিচারপতি আরএফ নরিমন, বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ।
আবেদনকারী অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পক্ষে বলা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শঙ্করনারায়ণকে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, ‘এটা কী ধরনের রিট পিটিশন? আমরা আপনার বিরুদ্ধে বড় ধরনের জরিমানা ধার্য করব। আপনি নিজের ঝুঁকি নিয়ে বিতর্ক করুন। ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনো ব্যক্তিকে নিজের ধর্ম বেছে নেওয়ার অনুমতি না দেওয়ার কোনো কারণ নেই।’
এ সময় অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পিটিশন খারিজ করে দেন সুপ্রিমকোর্ট। শঙ্করনারায়ণকে বিচারপতিরা আরও বলেন, সংবিধানে প্রোপাগেট বা প্রচার শব্দটি থাকার কারণ রয়েছে।
এরপর শঙ্করনারায়ণ পিটিশনটি তুলে নিতে চান। তিনি আবেদন করেন যে, তাকে এ ব্যাপারে সরকার ও আইন কমিশনের কাছে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু তাকে আইন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার অনুমতি দেয়নি বেঞ্চ।
অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আবেদনে ‘ধর্মের অপব্যবহার’ রোধে ধর্মান্তর আইন প্রয়োগ করতে কমিটি গঠন করা যায় কি না, সে বিষয়টি নির্ধারণের জন্যেও নির্দেশনা চাওয়া হয়।
খেয়াল-খুশি মতো ধর্মান্তরিত হওয়া সংবিধানের ১৪, ২১, ২৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন এবং তা ভারতীয় সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ ধর্মনিরপেক্ষতার মৌলিক নীতির পরিপন্থি-এই প্রেক্ষাপটে পিটিশনকারী উল্লেখ করেন, ৫১-এ অনুচ্ছেদের আলোকে দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র ও রাজ্য ব্ল্যাক ম্যাজিক, কুসংস্কার ও প্রতারণামূলকভাবে ধর্মান্তর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।’
এর বিরুদ্ধে সরকার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে পারেনি বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও বলা হয়, কেন্দ্র আইন চালু করতে পারে, যাতে ন্যূনতম তিন বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং বড় অঙ্কের জরিমানা ধার্য করা হয়।