কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হবে কিনা, সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে বুধবার (২৪ মার্চ) বিকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবো কিনা তা আগামী দু-এদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং তা জানিয়ে দেওয়া হবে।’
মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বলেন, ‘আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি রয়েছে। সিদ্ধান্ত জানানোর সময় এখনও রয়েছে। ছুটি বাড়বে কিনা সিদ্ধান্ত হলে তা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত (২৪ মার্চ বিকাল) ছুটি বাড়ানোর কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
দেশে পুনরায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে গত ১৫ মার্চ সচিবালয়ে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরপর থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফের ছুটি বাড়ানো হবে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছুটি বাড়ানো হবে উল্লেখ করে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। এরইমধ্যে কোনও কোনও গণমাধ্যম ছুটি বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও একদফা বাড়ানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের পর ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ সময়ে অনলাইনে এবং সংসদ টিভিতে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩০ মার্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। পবিত্র শবে বরাতের ছুটি ৩০ মার্চ। ফলে ছুটি বাড়ানো না হলে পরদিন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চলার কথা রয়েছে। তবে বিষয়টি পুরো নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। পরিস্থিতির অবনতি হলে আরও একদফা ছুটি বাড়তে পারে।
অপরদিকে আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।