কাজিরবাজার ডেস্ক :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহিন বনে তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবারও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত তাদের অভিযানের খবর পাওয়া গেছে। তবে নতুন করে আর কোনো অস্ত্র কিংবা গোলাবারুদ উদ্ধার হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে গভীর বন থেকে উদ্ধারকৃত ১৮টি ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার ৫৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন হবিগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। তবে এসব গোলাবারুদ ধ্বংস করা হবে নাকি ঢাকায় পাঠানো হবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫৫ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সামীউন্নবী চৌধুরীর নেতৃত্বে এক প্লাটুন সদস্য মঙ্গলবার বিকাল থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের অভ্যন্তরে ভারত সীমান্ত থেকে মাত্র এক কিলোমিটারে অভিযান শুরু করে।
এটি সাতছড়িতে সপ্তম দফার অভিযান। এ অভিযানে তারা ১৮টি ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার গোলা উদ্ধার করে এবং বুধবার সকালে বনের অভ্যন্তরেই প্রেস ব্রিফিং করে এসব গোলা উদ্ধারের তথ্য জানানো হয়।
এ সময় তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল সামীউন্নবী চৌধুরী। এর ধারাবাহিকতায় তারা বুধবার দিনভর সাতছড়ি বনের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় বিজিবি সদস্যরা অভিযান শুরু করেছে। তবে আর কোনো অস্ত্র কিংবা গোলাবারুদ পাওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে উদ্ধারকৃত ১৮টি ট্যাংক বিধ্বংসী গোলা উদ্ধার করে তাদের ব্যাটালিয়ন হবিগঞ্জে নেওয়া হয়েছে। এসব গোলা আদালতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে আদালতের মাধ্যমে তা ধ্বংস করা হবে কিংবা ঢাকায় সমরাস্ত্র কারখানায় পাঠানো হতে পাবে বলে জানিয়েছে লে. কর্নেল সামীউন্নবী চৌধুরী। তারা দুটো অপশনেই আগাচ্ছেন।
তিনি জানান, এগুলো আদালতের মাধ্যমে ধ্বংস করতে হলে বোম ডিসপোজাল টিম আনাতে হবে। এদিকে বিজিবির তৃতীয় দিনের অভিযান চলছে। তাদের সন্দেহজনক এলাকাগুলো সার্চ করার পরই তাদের অভিযান সমাপ্ত হতে পারে।