চাল- তেলের সাথে মোরগের দাম বেড়েছে

55

চাল-ভোজ্য তেলের সাথে এবার মোরগের দাম ও অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে, সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। বিশেষ করে নিম্ন-আয়ের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। বাজারের পণ্যের দাম রোধে সরকারের কোনো তৎপরতা বলতে কোনো কার্যকারি পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাই পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এত গড়িমসির কারণ কি? বাজার দর নিয়ে জনমনে নানা ধরনের গুঞ্জনের শেষ নেই। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম উঠা-লামা করায় সাধারণ ক্রেতাদের যেমন ভোগান্তি বাড়ছে, তেমনি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার প্রতি ক্ষোভ ও বাড়ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরী।
এদিকে সাধারণ ক্রেতাদের অধিকার সংরক্ষণে ভোক্তা অধিকার সংগঠনের কার্যক্রম ও ধীর গতিতে পরিচালনা করায়, বাজারের সুবিধা ভোগি ব্যবসায়ীরা যে যেমন পারছে, সে তেমন ভাবে ক্রেতাদের পকেট কেটে নিচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের খামখেয়ালিপনার সুবাদে অসাধু মজুদদাররা আগে-ভাগেই বাজারে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ফায়দা হাসিল করতে শুরু করছে। যা সাধারণ ক্রেতাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার শামিল। চাল-ভোজ্য তেলের দাম বাড়লে ও মোরগের দাম বাড়ার কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীদের মতে চলতি মৌসুমে বন-ভোজন, বিয়ে-সাদিসহ বিভিন্ন উৎসবে মোরগের মাংসের ব্যবহার বেড়েছে, তাই সব-ধরনের মোরগের মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে। তাদের মতে শহর-নগরে মানুষের সংখ্যা বাড়ার সাথে-সাথে পূর্বের চেয়ে নতুন ব্যবসায়ীর সংখ্যা ও বেড়েছে। তবে মাংসের ঘাটতি বাড়লে দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
অনেকের মতে ব্যবসাক্ষেত্রে নতুন-নতুন সুবিধা ভোগি ব্যবসায়ীদের আগমনে অতিরিক্ত ফায়দা আদায়ের জন্য তারা সুকৌশলে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তা অধিকার থেকে সাধারন ক্রেতাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এর কি কোনো বিহিত ব্যবস্থা নেই।
বিশেষজ্ঞমহলের মতে মাহে-রমজানের আগেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করার বিকল্প নেই।