বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে অপহরণ করে চারদিন আটকে রেখে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে মো. আমিন (২২) নামের এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
সে উপজেলার গোমরাগুল গ্রামের সিএনজি চালক ইকবাল মিয়ার পুত্র। ভিকটিম সিলেট সদর উপজেলার হাউসা ফুরকানিয়া ইরফানিয়া আলীম মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৪টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে আমিনকে গ্রেফতার ও অপহৃত মাদ্রাসী ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এর পূর্বে বুধবার রাত ১২টার দিকে বখাটে আমিনের বিরুদ্ধে অপরহণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা। মামলা নং ৫ (তাং ০৩.০২.২১ইং)।
মামলার অভিযোগপত্রে মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা উল্লেখ করেন, মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে তার কিশোরী মেয়েকে (ভিকটিম) মো. আমিন প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি সে পরিবারের সদস্যদের জানায়। তখন পিতা (বাদী) তার মেয়েকে সতর্ক করে দেয়ার পরও এক পর্যায়ে তার সাথে আমিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর গত ৩১ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিশোরী গোয়াল ঘরে তালা দিতে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আমিন একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে তাকে অপরহণ করে নিয়ে যায়। মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে বাদী জানতে পরেন, তার মেয়েকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছে আমিন। তিনি পরদিন বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। বুধবার দিবাগত রাতে তিনি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/৯ (১) ধারায় বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই থানার এসআই সঞ্জয় লাল দেব’র নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত আমিনকে গ্রেফতার ও অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয়রা জানান, গ্রেফতারকৃত আমিন বখাটে। সে ইতিপূর্বেও এ ধরণের একাধিক ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগও রয়েছে। এসব কর্মকান্ডে পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশীর লোকজনও অতিষ্ঠ।
মামলা দায়ের ও বখাটে আমিন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারকৃত আমিনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ও উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।