ব্রাজিলের জয়রথ চলছেই

9

স্পোর্টস ডেস্ক :
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের ম্যাচে উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে শতভাগ সাফল্য ধরে রেখে ২০২০ সালটা গ্রুপের শীর্ষে থেকেই শেষ করেছে ব্রাজিল। এই নিয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত রইলো সেলেসাওরা। এর মধ্যে জয় আটটি ও ড্র তিনটি। দলটির বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ানরা সর্বশেষ হেরেছিল ২০০১ সালে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১-০ গোলে।
বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোরে মন্তিভিদিওর সেন্তেনারিও স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের আগের একাদশ থেকে মাত্র একটি পরিবর্তন এনেছিলেন ব্রাজিল কোচ তিতে। একাদশে অ্যালানের জায়গায় ফিরেছিলেন আর্থার। উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার জায়গায় এডিনসন কাভানির সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন বেনফিকার তরুণ স্ট্রাইকার দারউইন নিউনেজ।
প্রথম থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক খেলেছে দুই দল। এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পেয়েছিল উভয় পক্ষ; কিন্তু সে যাত্রায় মেলেনি জালের দেখা। তৃতীয় মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট ঠেকান উরুগুয়ের গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর দারউইন নুনেসের জোরালো শট ক্রসবারে লাগলে বেঁচে যায় ব্রাজিল।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে জেসুসের কাছ থেকে বল নিয়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত প্লেসমেন্টে দলকে এগিয়ে দেন জুভেন্টাসের মিডফিল্ডার আর্থার মেলো। অথচ এভারটনের মিডফিল্ডার অ্যালান ফিট থাকলে তার খেলারই কথা ছিল না।
৪৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিচার্লিসন। ছোট করে নেয়া কর্নারের পর সতীর্থের পা ঘুরে ডি-বক্সে ক্রস বাড়ান রেনান লোদি। লাফিয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন এভারটন ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে উরুগুয়েই বল পজেশনে এগিয়ে ছিল। তবে তাতে অযাচিত চাপ অনুভব করেনি ব্রাজিল। থিয়াগো সিলভা-মার্কিনিয়োসরা দুই গোলের লিড পেয়ে শক্ত-পোক্ত রক্ষণে শান দিয়েছেন আরও। ম্যাচের শেষের বিশ মিনিট আগে রিচার্লিসনকে ফাউল করায় শুরুতে রেফারি কাভানিকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পরে মাঠের বাইরে মনিটরে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন রেফারি। রিচার্লিসনকের গোঁড়ালিতে ট্যাকেল করেছিলেন কাভানি। লেট ট্যাকেলের জন্য পরে লাল কার্ড দেখে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়।
কাভানি মাঠ ছাড়ার পর মার্টিন কার্সেরেস অবশ্য ব্রাজিলের জালে একটা বল জড়িয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে উরুগুয়ের ম্যাচে ফেরার ক্ষীণ আশাও শেষ হয়ে যায়। অ্যালিসন থাকার পর ব্রাজিলের গোলবারের দায়িত্ব পাওয়া এডারসন তাই শেষ পর্যন্ত দুই ম্যাচেই ক্লিনশিট পেয়েছেন।
৪ ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে বছর শেষে সবার উপরেই থাকল তিতের দল। আরেক ম্যাচে কলম্বিয়াকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয়া ইকুয়েডরের পয়েন্ট ৯।