কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সোপান হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রণয়ন করেছিলেন, তার পুরোটা নিজের চিন্তা থেকে তৈরি মন্তব্য করে বলেছেন, অনেকেই ছয় দফা দাবি নিয়ে অনেক কথা বলেন। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি যে এটা (ছয় দফা) বঙ্গবন্ধুর একান্ত চিন্তার ফসল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতা যে পথ দেখিয়েছেন, যে আদর্শ রেখে গেছেন- সেই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে হবে। অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আমরা সে পথ ধরেই এগিয়ে যেতে চাই। এদেশকে যদি আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা করতে চাই তাহলে অবশ্যই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের এই বিজয়কে সমুন্নত রাখতে হবে।
রাজধানীর ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার ঐতিহাসিক ৬ দফা নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা শত চেষ্টা করেও ইতিহাস মুছে ফেলতে পারেনি, ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির উত্থান হয়েছিল, তারা আমাদের বিজয়কে নসাৎ করতে চেয়েছিল। আমি মনে করি, এখন আর সেই সুযোগ নেই। ইতিহাস তার আপন গতিতে চলে। ইতিহাসকে কেউ মুছতে পারে না- সেটা আজ প্রমাণিত সত্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
ইতিহাসের অনিবার্যতায় আজ জাতির পিতার দর্শন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্ব জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। এমনকি জাতিসংঘ উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেগুলো বাস্তবায়ন করা যায়নি। তবে জাতিসংঘ এরই মধ্যে একটি স্ট্যাম্প রিলিজ করেছে। বিশ্বনেতারা বিভিন্ন দেশে অনেক কর্মসূচী নিয়েছেন।
ঐতিহাসিক ছয় দফার পুরোটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব চিন্তা থেকে তৈরি উল্লেখ করে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছয় দফা প্রণয়নটা এটা অনেকে অনেকভাবে বলতে চায়। কেউ এর পরামর্শ, ওর পরামর্শ বলতে চায়, কিন্তু আমি নিজে জানি যে, এটা তার (বঙ্গবন্ধুর) সম্পূর্ণ নিজের চিন্তার ফসল। কারণ তাকে যখন গ্রেফতার করা হলো ১৯৫৮ সালে এবং তিনি ১৯৫৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুক্তি পান, সেই সময় কিন্তু রাজনীতি নিষিদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ঢাকার বাইরে যেতে পারতেন না, সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। তখন তিনি (বঙ্গবন্ধু) চাকরি নিলেন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে। তখন তাজউদ্দিন সাহেব গ্রেফতার ছিলেন। পরে মুক্তি পেয়ে উনিও একটা চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতে। বঙ্গবন্ধু নিজে গিয়ে তাজউদ্দিন আহমদকে নিয়ে এসে আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি দিলেন। মোহাম্মদ হানিফকেও কিন্তু আলফা ইন্স্যুরেন্সে চাকরি দেন তার পিএ হিসেবে। বঙ্গবন্ধু সব সময় নিজে বসে বসে চিন্তা করতেন, নিজেই লিখতেন এবং হানিফকে দিয়ে এটা টাইপ করাতেন। এখানে শুধুমাত্র একমাত্র মোহাম্মদ হানিফ জানতেন, সেই টাইপ করেছিলেন। এছাড়া কিন্তু আর কারো জানা ছিল না। এটা সম্পূর্ণ তার (বঙ্গবন্ধু) নিজের চিন্তার থেকে এই ছয় দফাটা কিন্তু তৈরি করা।’
ঐতিহাসিক ৬ দফার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬ দফা আন্দোলন এক পর্যায়ে এক দফা আন্দোলনে পরিণত হয়। এই ৬ দফার ওপর ভিত্তি করেই আমাদের মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয় অর্জন। বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা লুফে নিয়েছিল। এত অল্প সময়ের মধ্যে মানুষ কোন বিষয়ে বুকের রক্ত দিতে পারে এটা ছিল অভাবনীয়। এই ৬ দফা নিয়ে বঙ্গবন্ধু যখনই আলোচনা করেছেন তখনই আমাদের জাতীয় পতাকা কী হবে, জাতীয় সঙ্গীত কী হবে, জাতীয় শ্লোগান কী হবে- সেটা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ৬ দফার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে তো ছিলই, এদেশেও দালাল তৈরি হয়। ৬ দফার পরিবর্তে ৮ দফা প্রস্তাব আনা হয়েছিল, তখন বঙ্গবন্ধু জেলে। কিন্তু আমার মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অত্যন্ত দৃঢ়চেতা ছিলেন। আমার মা এ ব্যাপারে খুব সচেতন ছিলেন। আমাদের অনেক বড় বড় নেতারা আট দফার দিকে ঝুঁকে গিয়েছিলেন, সেটি সত্যিই খুব লজ্জাজনক। আমাদের বাড়িতে আওয়ামী লীগের মিটিং হয় সেখানে ৬ দফার পক্ষেই সিদ্ধান্ত হয়।
৬ দফা আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ৬ দফা নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে জেলাতে সভা করেছেন সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি যখনই এ দেশের মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন তখনই তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল বিচার করে ফাঁসির রায় দিয়ে তাকে হত্যা করা। ৬ দফা আন্দোলন এক দফা আন্দোলনে পরিণত হয়। আইয়ুব খান বাধ্য হয়ে মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়। মিলিটারির একটি গাড়িতে করে এনে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এই জাতিকে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। সেই পাকিস্তান ভেঙ্গে এসে তিনি বাংলাদেশ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আমরা তার পথ অনুসরণ করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশ যে স্বাধীন হলো, এই স্বাধীনতার চিন্তাটা জাতির পিতা কখন নিয়েছিলেন? কেন নিয়েছিলেন? পাকিস্তান নামক যে রাষ্ট্রটা তৈরি হয়েছিল সেখানে পূর্ব পাকিস্তান বা আমাদের পূর্ব বাংলা ছিল তার একটা অঙ্গরাষ্ট্র। পাকিস্তানের যে আন্দোলন সেই আন্দোলনটাও কিন্তু হয়েছিল আমাদের এই ভূখন্ডে। এখানে কিন্তু পশ্চিমাদের অবদান খুব একটা ছিল বলে আমরা দেখি না। সেই সময়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, তার সঙ্গে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
শেখ হাসিনা বলেন, লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে কয়েকটি আলাদা আলাদা রাষ্ট্র হবে। কিন্তু সেটাকেও পরিবর্তন করা হয়েছিল। পাকিস্তান হলো এবং আমাদের এই ভূখন্ডকে তার একটা অঙ্গরাজ্য করা হলো। দুর্ভাগ্য হলো পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর সবচাইতে বঞ্চনার শিকার হতে হলো আমাদের অর্থাৎ বাঙালিদের। রাজধানী নিয়ে গেল করাচীতে যেখানে মরুভূমি। আমাদের মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নিল। বাংলায় কথা বলতে দেবে না, উর্দু শিখতে হবে। এরই প্রতিবাদ শুরু হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি উদ্যোগ নিলেন। তারই প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার একটা কমিটি গঠন হলো এবং সেখান থেকে আন্দোলন শুরু। রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, আমাদের দেশের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী অধিকার আন্দোলন-এসব আন্দোলন নিয়েই কিন্তু আবার নতুন করে যে সংগ্রাম শুরু, এই সংগ্রামের পথ বেয়েই কিন্তু আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আটান্ন সালে যখন তিনি (বঙ্গবন্ধু) গ্রেফতার হন সেই সময় থেকেই তিনি প্রস্তুতি নিলেন কিভাবে এই ভূখন্ডের মানুষকে স্বাধিকার এনে দেবেন। বাষট্টি সালে তার একটা উদ্যোগ ছিল সমগ্র বাংলাদেশ প্রত্যেকটা এলাকায় নিউক্লিয়াস ফর্ম করে এদেশের মানুষকে সচেতন করা। এরই একটা পর্যায়ে তিনি আবার গ্রেফতার হলেন। ১৯৬৫ সালে যখন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলো তখন আমরা একেবারেই অরক্ষিত ছিলাম। তখনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিদ্ধান্ত নিলেন এবং তিনি এই ছয় দফা প্রণয়ন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন লাহোরে গিয়ে এটা (৬ দফা) পেশ করার চেষ্টা করেন, সেখানে প্রচ- বাধা আসে। পশ্চিম পাকিস্তানের লোকেরা প্রচন্ড বাধা দেয়। বাধা পেয়ে তিনি সেখানে সংবাদ সম্মেলন করে সেটা তুলে ধরেন। তাতে ওরা আরও ক্ষিপ্ত হয়। এটা ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, এই সম্মেলনটা সেখানে তিনি তুলে ধরার চেষ্টা করেন। পরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি তার ছয় দফাটা দিয়ে দেন। পরে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে তেজগাঁও বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মলন করে ছয় দফার মূল কথাগুলো প্রকাশ করেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের কার্যপ্রণালী কমিটির সভা ডাকেন।
তিনি বলেন, এর আগে এটা কিন্তু বঙ্গবন্ধু সভায় পেশ করেননি। এটা তখন সিক্রেট রেখেছিলেন। সেখানে এই ছয় দফা পাস হয় এবং এটাকে কাউন্সিলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তখন কাউন্সিলে এটা পাস করা হয়। তারপর তিনি শুরু করেন সমগ্র বাংলাদেশে ছয় দফা নিয়ে প্রচার এবং জনসভা। যে যে জেলায় তখন সভা করেছেন, সেখানেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক ছয় দফার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা, মানসিকভাবে প্রস্তুত করা, এই জাতিকেই তিনি (বঙ্গবন্ধু) পাকিস্তান আন্দোলনের জন্য সম্পৃক্ত করেছিলেন। আবার সেখান থেকে ভেঙ্গে এসে স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করা- এটাই ছিল তার উদ্দেশ্য এবং একটা কঠিন দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সেটা তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে দিয়ে যান। কাজেই আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে ছয় দফা অর্থাৎ একেকটা ধাপ পার হয়ে কিন্তু আমরা এই অর্জনটা করতে পেরেছি। এটার ওপর ভিত্তি করেই কিন্তু আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং আমাদের বিজয় অর্জন। সেদিক থেকে ছয় দফা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
করোনা ভাইরাসের কারণে সশরীরে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে না পেরে আক্ষেপ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য এটুকু যে, যেখানে নিজে উপস্থিত থেকে পুরস্কারটা হাতে তুলে দেয়া যেত তাহলে আরও খুশি হতে পারতাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আজকে করোনাভাইরাস নামে এমন একটা ভাইরাস শুধু বাংলাদেশ না, সারাবিশ্বে দেখা গেছে। আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটা অস্বাভাবিক হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে কারও জীবনটা ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাইনি।’
মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
‘শতবর্ষে শত পুরস্কার’ শীর্ষক অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারীকে ৩ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ২ লাখ এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ১ লাখ টাকার চেক ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়। সারাদেশের ৩৫টি জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে ১০০ জন বিজয়ীসহ প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ৯২৯ প্রতিযোগী অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার বিজয়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ পাশা ও খুলনা রেলওয়ে গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা খুকু রানী প্রতিযোগীদের পক্ষ থেকে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। এ সময় মুজিববর্ষের থিম সং এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা দাবির ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী আজ ৩১ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করবেন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিতকরণে আজ বৃহস্পতিবার ২টি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ৬টি নতুন সঞ্চালন লাইন উদ্বোধন করবেন। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এসব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২৫৭টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেছেন। আজ ৩১টি উপজেলা উদ্বোধনের পর মোট ২৮৮টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে।