সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সম্প্রতি পরপর বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের নতুন পৈন্দা-ভৈষবেড়ের বেড়িবাঁধ। বন্যার প্রচন্ড স্রোতে বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ৩০০ মিটার স্থান সুরমা নদীর সাথে একাকার হয়ে গেছে। বাঁধ ভেঙ্গে নদীতে রূপ নেয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ইউনিয়নের ১১ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। উজান থেকে নেমে আসা বালি আর পলিতে চর পড়েছে ফসলী জমিতে। গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁধটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় নির্মাণ না করলে ডাউকার হাওরের অন্ত্যত দুই হাজার হেক্টর বোরো জমি ঝুঁকিতে থাকবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা গেছে, দুই বছর আগে ফসল রক্ষা ও এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। যার ফলে গেল দুই বছর নিরাপদে বোরো ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন এলাকার মানুষ। এছাড়া এই বাঁধের উপর দিয়ে ইউনিয়নের নতুন পৈন্দা, ভৈষবেড়, দেওয়ান নগর, মোহনপুর, শাখাইতি, এরালিয়া, নোয়াগাঁও, শান্তিপুর, কলাইয়া, মাগুরা, হোসেন নগরের কয়েক হাজার মানুষের জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। বন্যায় বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ফসল সুরক্ষার অনিশ্চিয়তার পাশাপাশি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।
নতুন পৈন্দা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর আলম জানান, বন্যায় বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধটি মেরামতের জন্যে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন এলাকাবাসী। গত মঙ্গলবার এলাকাবাসীর পক্ষে এই আবেদন করেন শীতেষ তালুকদার মঞ্জু, এডভোকেট বুরহান উদ্দিন, আলমগীর আলম, মাসুক মিয়া, সফর আলী, আক্তার হোসেন, সেলিম মিয়া,দিলিপ দাস,আব্দুল হক, আইনুল হক, মঞ্জুর, সিজিল, হেলাল, সাফিজ, আওয়াল, সন্টু, মিশু, আবু তাহেরসহ স্থানীয় সচেতন মহল।
আবেদনে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে বোরো মৌসুমে ফসলের সুরক্ষা ও ১১ গ্রামের যোগাযোগ রক্ষার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন পৈন্দা- ভৈষবেড় বাঁধটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আহাদ বলেন, আমি অভিযোগ পাওয়ার সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জন্যে। তবে আবেদন এখনও হাতে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান।