স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস চার লেনে উন্নীত করতে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে। আর ছয় মাসের মধ্যে শুরু হবে কাজ। বর্তমানে দুই লেনের বাইপাস সড়কটি পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানিয়েছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের প্রধান।
শনিবার দুপুরে ওই প্রতিনিধি দলটি সিলেটে আসে। সড়ক পরিদর্শন শেষে তাঁরা সিলেটের রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
প্রতিনিধি দলটি সিলেটে বিমানবন্দর-বাদাঘাট-তেমুখী বাইপাস সড়কের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। এছাড়া প্রস্তাবিত নকশায়ও নজর দেয় দলটি। নকশায় ত্রুটি থাকায় প্রতিনিধি দলের প্রধান অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি দ্রুত সংশোধিত নকশা তৈরি করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেট কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম প্রধান জাকির হোসেন, উপ-প্রধান শামিমউজ্জামান, সওজের রোড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর সিদ্দিকী, পরিকল্পনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিন রেজা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সওজ সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আমিন, অতিরিক্ত প্রকৌশলী তুষার সিনহা, নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন।
এই প্রতিনিধি দলটি পরে রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় করে। নগরীর রায়নগরে সওজের রেস্টহাউজে মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এটিএম শোয়েব, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল জব্বার জলিল, সিলেট উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, এডভেঅকেট নূরে আলম সিরাজী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ দিদার আলম নবেল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জাতীয় মহিলা সংস্থার সিলেটের চেয়ারম্যান ও শিল্পপতি হেলেন আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবুল হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময়কালে প্রতিনিধি দলের প্রধান বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম প্রধান জাকির হোসেন বলেন, বাইপাস সড়কটির বাস্ত অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্যই আমরা সিলেটে এসেছি। আমাদের পর্যবেক্ষণ সংশ্লিষ্ট দফতরে জানাবো। আগের প্রস্তাবিত নকশা সংশোধনের মাধ্যমে সড়কটির পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে। এতে ২-৩ মাস সময় লাগতে পারে। আর ছয় মাসের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর বিমানবন্দর-বাদাঘাট সড়কটি পাথরবাহী ট্রাক চলাচল, বিমানবন্দর অভিমুখীদের সুবিধা এবং পর্যটকবাহী যান চলাচলের জন্য চার লেনে উন্নীত করার দাবি দীর্ঘদিরেন। ২০১৬ সালে এ বিষয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। পরের বছর চার লেন সড়কের সাথে দুটি সার্ভিস লেন যুক্ত করে সংশোধিত প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। বছরখানেক আগে মন্ত্রণালয়ে ফের চার লেনের প্রস্তাবনা যায়। কিন্তু সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কাজে অগ্রগতি হচ্ছিল না।
সম্প্রতি সড়ক সচিব বাইপাস সড়কটিকে দুই লেনেই রাখার পক্ষে মত দেন। কিন্তু সিলেটের সচেতন মহল থেকে এর প্রতিবাদ জানানো হয়।