কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা মহামারির মধ্যে সমালোচনার মুখে স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চালাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স নিশ্চিত করার দিকে জোর দিচ্ছে সংস্থাটি। আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন না করলে তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার অধিদপ্তরের টাস্কফোর্সের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে এক আদেশে এই সিদ্ধান্তর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রতিবছর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর লাইসেন্স নবায়নের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিস্তারিত বিবরণ, সিটি করপোরেশনের ছাড়পত্র, কর সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য নথি প্রয়োজন। এই আলোকে এসব হাসপাতালকে নিয়মিত নোটিশ দেয়ার পাশাপাশি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু এসব কাগজপত্র দিতে পারে না বলে লাইসেন্স নবায়ন করতে আসে না বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠান।
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধন ফি এবং নিবন্ধন নবায়ন ফি পাঁচ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার ও সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর পাঁচ হাজার হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স করে। বাকিরা লাইসেন্স নবায়ন করতে আসেনি।
এদিকে শনিবার দুপুরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও আক্রান্ত রোগীদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য গঠিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের টাস্কফোর্সের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব ও উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালানো হবে। এ বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই।
করোনাকালে রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়মের পরই সম্প্রতি নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপরই লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের বিরুদ্ধে মাঠে নামে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। এতে দেখা যায় দেশের সুপরিচিত বিভিন্ন হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়ন না করেই চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, সারাদেশে মোট ১৫ হাজারেরও বেশি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশেরই বৈধ লাইসেন্স নেই