একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগী। কিন্তু স্বাস্থ্য বিধি মানার কোনা বালাই নেই। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠছে বাজার কিন্তু বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা কেউই স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। লকডাউনের দোহাই দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে গণপরিবহন।
শনিবার আসুন মাস্ক পরি, নিজে নিরাপদ থাকি, পরিবারকে নিরাপদ রাখি” শ্লোগানকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ শহরে মাস্ক পরিধানে উৎসাহিত করতে এক অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ সময় যারা মাস্ক বিহীন বাহিরে এসেছেন তাদের মাস্ক কিনতে উৎসাহিত করা হয়।
পুলিশের অভিযান শেষ হওয়ার সাথে সাথে আবারো মানুষ পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন বাজারের ব্যবসায়ী ও যান চালকদের স্বাস্থ্য বিধি মানতে বাধ্য করতে হবে। জনসাধারণের মাঝে আরো সচেতনতা মূলক কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আবারও কঠোরভাবে মাঠে নেমেছেন পুলিশ সদস্যরা। মানুষকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এছাড়া মাইকিং এর মাধ্যমেও মানুষকে মাস্ক পরার জন্য উৎসাহ প্রদান করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্য। তবে শনিবার থেকে পুলিশের কথা অমান্য করে মাস্ক ছাড়া যারা ঘর থেকে বাহির হচ্ছেন তাদেরকে কঠোর শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে বসে রাখতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসে মধ্যে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা পুলিশ সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। আমরা মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নানা রকমের প্রচার ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি, তবে যারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘর থেকে বাহির হবে তাদের কঠোরভাবে হস্তক্ষেপ করবো।