পাইকারি ও খৃচরা বাজারে মানুষের উপচেপড়া ভিড়, মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা

18
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হলেও নগরীর কালিঘাটে প্রতিদিন এভাবে ভিড় করেন মানুষজন। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাসে লকডাউন না মেনে ঈদের কেনাকাটায় নগরীতে পাইকারিবাজার ও খোলা বাজারে মানুষের ভিড় ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। লকডাউনে যেখানে ঘরে থাকার কথা সেখানে ঘরে না থেকে মানুষজন অবাদে চলাচল করছে। এদিকে ঈদের কেনাকাটা করতে বাড়ির বাইরে বের হওয়া মানুষদের নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সিলেট বিভাগে ইতোমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বিভাগটিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়লেও করোনা সম্পর্কে এখনও সেভাবে তৈরি হয়নি সচেতনতা। এ অবস্থা চলতে থাকলে সিলেটে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগেও মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কম বের হওয়াতে করোনা আক্রান্ত কিছুটা কমছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষ আর ঘরবন্দি থাকছে না। এভাবে চলতে থাকলে সিলেটে করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।
সরেজমিন দেখা যায়, সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, কালিঘাট, আম্বরখানা, কাজিরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই মানুষের ঢল নামে। সেই সঙ্গে নগরীর হাসান মার্কেট ও লালদীঘি হকার্স মার্কেট খোলার পর এক ব্যবসায়ী করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াতে মার্কেট দু’টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও শহর থেকে গ্রামে মানুষের অবাদ চলাফেরা বন্ধ হয়নি। এমনকি উপজেলা সদরগুলোর কাপড়ের মার্কেট খোলা রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে যখন লোকে লোকারণ্য। তখন গতকাল শুক্রবার নগরীর চৌহাট্টায় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফেরাতে সচেষ্ট ছিল সেনা সদস্যরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্যমতে, বিভাগের ৪ জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে লোকজনের সংখ্যা কমলেও করোনা আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে।
শুক্রবার পর্যন্ত বিভাগের চার জেলায় আরও ৭৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে আনা হলেও বিপরীতে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫৪ জন। এখনও হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১ হাজার ২২৭ জন। আর করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৩৪৫ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ১৩৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৯ জন ও মারা গেছেন ৬ জন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সিলেটে ১০১, সুনামগঞ্জে ৬৭, হবিগঞ্জে ১১৮ এবং মৌলভীবাজারে ৫৭ জন।