কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের প্রকোপের সময় কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন তাদের অভিনন্দনসহ পুরস্কৃত করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অন্যদিকে সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও যারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেননি, ফাঁকি দিয়েছেন, কর্মস্থলে থাকেননি এবং জনগণের পাশে থাকার ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সংস্থাটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি করোনার সময় কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের এবং কর্মস্থলে কারা নেই তাদের তালিকা চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। দেশের সব বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের কাছে এই তালিকা চেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্।
করোনাভাইরাসের প্রকোপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি অফিস ও আদালতে ছুটির মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়। সরকারি আদেশ প্রতিপালনে গত ৯ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অধিদফতরের অধীনস্থ জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) সুপারিনটেনডেন্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে অবস্থান না করে অন্যত্র অবস্থান করছেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর পরিপন্থী।
সতর্ক বার্তা দেওয়ার পরও কেউ কেউ অবহেলা করেছেন, দায়িত্বে ফাঁকি দিয়েছেন। অভিযোগ ওঠার পর প্রথমে কারা কর্মস্থলে নেই বা কাজে অবহেলা করেছেন তাদের তালিকা চায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এরপর গত ১০ মে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের তালিকা চাওয়া হয়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ বলেন, ‘যারা কর্মস্থলে নেই, আর যারা কর্মস্থলে আছেন তাদের তালিকা চেয়েছি। কারণ, যারা কর্মস্থলে আছেন তাদের যদি একটি চিঠি দিয়েও ধন্যবাদ জানাই তাহলে তারা খুশি হবেন, কাজে অনুপ্রেরণা পাবেন। এছাড়া ফরেন ট্রেনিংসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা থাকে, সেসব ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। করোনার এই সময় অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ত্রাণ দেওয়ার কাজে সহায়তা করেছেন, অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। প্রশাসনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন যারা তারা এক ধরনের পুরস্কার পাবেন। আর যারা এই সময় ফাঁকি দিয়েছেন, কর্মস্থলে থাকেননি, এসব কর্মকর্তাকে তিরস্কার করাসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন প্রণোদনার সুযোগও দেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা শনাক্তের পর প্রথম গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি রয়েছে।