রুশো আরভি নয়ন :
তোমাকে কষ্ট করে নীল শাড়ি পড়তে হবেনা। ম্যাচিং ব্লাউজ কিংবা কাঁচের চুড়ি পড়ে আমার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা নির্জন গলিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হবেনা।
তুমি বরং চিঠি দিও!
অভিযোগের অভিধানে চিঠি।
তোমাকে রাত জেগে কথা বলতে হবেনা।ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপের প্রেসারে চোখের কোণে দাগ ফেলতে হবেনা। রাতজাগা পথিকের মতোও পথে হাঁটতে হবেনা।
তুমি শুধু চিঠি দিও!
অভিমানে মোড়া উষ্ণ চিঠি।
তোমাকে তিলেতিলে শব্দ বুনতে হবেনা। একের পর এক অক্ষরবৃত্ত,মাত্রাবৃত্ত,মগজে তোমার গুঁজতে হবেনা।
লিখতে হবেনা শত পৃষ্ঠার উপন্যাস কিংবা কাব্যগ্রন্থ।
তুমি নিছক চিঠি দিও!
অকারণের আবরণে চিঠি দিও।
তোমাকে দিনের পর দিন ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টানতে হবেনা। গুনতে হবেনা অপেক্ষার প্রহর। লাল কালি,নীল কালির আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত করতে হবেনা রঙিন ক্যানভাস।
তুমি কেবল চিঠি দিও!
স্মরণের অজুহাতে চিঠি দিও।
তোমাকে পাশাপাশি হাটতে হবেনা। ছুঁতে হবেনা আমার ফোঁসা পরা হাত কিংবা মেঘে ঢাকা অম্বর। রিকশার হুর তুলে প্রমাণ করতে হবেনা তোমার অস্তিত্ব।
তুমি আজই চিঠি দিও!
অন্তর্দৃষ্টির তাড়ণে চিঠি দিও।
তোমাকে রক্ত রাঙা গোলাপ দিতে হবেনা। বর্ষার কদম ফুল কিংবা কাঁদায় ফোটা পদ্ম দিতে হবেনা। শ্রাবণের অঝোর ধারায় গাঁ ভাসিয়ে ১০৪ জ্বর বাঁধাতে হবেনা।
তুমি দ-ে দ-ে চিঠি দিও!
শতো ভুলে ভরা অঙ্কিত চিঠি।