রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ

18

কয়েক মাস ধরেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এবার রমজানে নিত্যপণ্যের কোনো অভাব থাকবে না। সব ধরনের পণ্যের মজুদ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। বাজারে কোনো সংকট দেখা দেবে না। কথা সত্য। করোনাভাইরাসজনিত কারণে সরবরাহ শিকল কিছুটা বিঘ্নিত হলেও বাজারে নিত্যপণ্যের সংকট নেই। পর্যাপ্ত পণ্য থাকা সত্ত্বেও বরাবরের মতো এ বছরও রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা গেল না। সংকট না থাকলেও রমজানের আগে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে চাল, ডাল, চিনি, সবজিসহ সব ধরনের নিত্যপণ্য। ছোলা, চিনি, ডাল, খেজুর, মাছ, মাংসের দাম তো কয়েক দিন আগে থেকেই ঊর্ধ্বমুখী।

ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। আগের সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে মোটা চাল বিআর-২৮ ছিল ৪৫ টাকা কেজি, এখন ৪৬ টাকা; পাইজাম ছিল ৪২, এখন ৪৪ টাকা; স্বর্ণা ছিল ৪০, এখন ৪২ টাকা; লতা ছিল ৪৪, এখন ৪৬ টাকা এবং বিআর-২৯ আগের মতো ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত বছর এই সময়ে এসব মোটা চালের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা কেজি। এ ছাড়া নাজিরশাইলের মধ্যে ভালো মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা কেজি পর্যন্ত। গত সপ্তাহে কাটারি নাজির ছিল ৬০, এখন ৬২ টাকা; জিরা নাজির ছিল ৫৬, এখন ৫৪ টাকা। মিনিকেট হিসেবে পরিচিত চাল আগের মতো মানভেদে ৫৪ থেকে ৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বরাবরই দেখা গেছে, বাজারে চাপ বাড়ার সুযোগটার অসৎ ব্যবহার করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। তারা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোনো নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা না থাকার সুযোগ নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই দুর্দিনে বাজার নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।