স্টাফ রিপোর্টার :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শনিবার থেকে সিলেটকে ‘লকডাউন’ (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে। এই লকডাউনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত সকল তফসিলি ব্যাংক সিলেটে নিজেদের কার্যক্রম চালাতে পারবে। এ বিষয়ে রবিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, লকডাউনের মধ্যে ব্যাংক খোলা থাকবে কিনা এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি কাজ করছিল। এরই প্রেক্ষিতে বিষয়টি খোলাসা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আসলাম উদ্দিন।
তিনি জানান, জরুরি পরিষেবা লকডাউনের আওতা বহির্ভূত। এ হিসেবে সকল তফসিলি ব্যাংক লকডাউনের মধ্যে খোলা রাখা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা) ব্যাংকের কার্যক্রম চালানো যাবে।
জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলায় গত ১১ এপ্রিল শনিবার সিলেট জেলা অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হয়। জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষি পণ্য, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ ইত্যাদি এর আওতাবহির্ভূত থাকবে মর্মে ঘোষণা করা হয়। ব্যাংকিং সেবা একটি জরুরি পরিষেবা হওয়ায় সকল তফসিলি ব্যাংক ঘোষিত লকডাউনের আওতাবহির্ভূত থাকবে।’
জানা গেছে, বাংলাদেশে তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড, এবি ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড প্রভৃতি।