কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে আওয়ামী লীগের সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। সংসদের বিশেষ অধিবেশনও স্থগিত করা হয়েছে। সরকারিভাবে স্বাধীনতা দিবসের সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। সরকারি প্রোগ্রাম বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের পার্টির সভাপতির নির্দেশে আমরা মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের যে কর্মসূচি আমরা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ঘোষণা করেছিলাম, সেসব কর্মসূচিও বাতিল করছি।
‘সরকারিভাবে বাতিল করা হয়েছে, দলীয়ভাবেও আমাদের নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, আমি সেটা দলের পক্ষ থেকে সকল পর্যায়ের মহানগর, জেলা, উপজেলা ইউনিয়ন, ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সকল শাখা সংগঠনকে নির্দেশ দিচ্ছি যে, কোনো প্রকার কর্মসূচি থাকবে না, কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।’
করোনা পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মী ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে সারাদেশের জনগণের মধ্যে বিজ্ঞানসম্মতভাবে করোনাভাইরাস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করবেন। করোনা সংক্রমণ রোধে সঠিক তথ্য প্রদান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং জনসমাগম হতে পারে এমন কর্মসূচি পরিহার করবেন।
‘ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও শহর পর্যায়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করে ওই সকল ব্যক্তির তথ্য স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করবেন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবেন।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংকট নিয়ে সব ধরনের গুজব, মিথ্যা তথ্য, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং এই সকল অপকর্ম প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একই সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতে বিআরটিসির ৩৪টি বাস ও তিনটি ট্রাক নিযুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এছাড়া দুটি বাস জরুরি সেবায় বিমানবন্দরে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। বিআরটিসির সব বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকল গাড়িচালক, সহকারীকে মাস্ক ও গ্লাভস পরিধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রিপের শুরু এবং শেষে বাধ্যতামূলকভাবে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে যাত্রীসেবা প্রদানে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।