স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমায় মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুর সোয়া ১ টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং বডির সভাপতি এবং দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক আফছর উদ্দিন সহ অতিথিরা প্রতিকৃতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নজরুল হাকিম, মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো: শহিদুর রব, ১নং মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শেখ মো: মকন মিয়া, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এডিশনাল পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মকবুল হোসেন কয়ছর, মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক রাজু, স্কুল ও কলেজের গভর্ণিং বডির সদস্য এবং সিলেট জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদ আলী, গভর্ণিং বডির সদস্য ফখরুল ইসলাম, আব্দুল মতিন, মোচ্ছা: মীরা বেগম, শিক্ষানুরাগী শাহ আলম বেবী। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক সৈয়দ সফওয়ান শহীর, নাজমা সিদ্দিকা, মোল্লা মাহমুদ হানিফ, রুমা তালুকদার, মো: আব্দুল মতিন চৌধুরী, মো: নজরুল ইসলাম, মো: আসাদুজ্জামান আসাদ, রেহানা পারভীন মুক্তা, মো: কামরুজ্জামান, হেলেনা আক্তার, সোহেল আহমদ পাটোয়ারী, খালেদা বেগম লাকী, নাইম, নীরাজিতা খানম, ফয়জুন নাহার নাজমা, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও জাহের আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নজরুল হাকিম অত্র বিদ্যালয় ও কলেজের বিল্ডিংয়ের বর্ধিত কাজ ও আরেকটি ৫ম তলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং নির্মাণের আশ^াস প্রদান করেন। এর আগে এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও আফছর উদ্দিন সহ অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন ক্লাস পরিদর্শন করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ভাষণের ইতিহাস এবং তার আত্মজীবনী তুলে ধরে বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম নিয়েছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুর জন্ম না নিলে আজকের এই বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আজ ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী শুরু হয়ে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এই এক বছর মুজিববর্ষ পালন করা হবে। এই এক বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আদলে তারই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। আর বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে সারা বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে, আজ সারা দুনিয়ায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে স্বীকৃত দিয়েছে। তিনি এখন শুধু বাংলাদেশের নেতা নন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, স্বৈরাচারি শাসক গোষ্ঠী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু দুটি স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতি করেছিলেন, একটি হলো স্বাধীনতা আর আরেকটি অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন আর তার কন্যা শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তি দানের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বলতেন আমার বাংলা হচ্ছে শস্য, শ্যামলা, সুজলা, সুফলা সোনার বাংলা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ আরো বলেন, আজ এই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। মানুষ আজ ঘরে বসে পৃথিবীকে জানতে পারছে। আর এটা সম্ভব করেছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায়। ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্ব বাংলাদেশকে অনুকরণ করবে। তিনি বলেন, আমি মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে লেখা-পড়া করেছিলাম বলে আজ আমি রাজনীতির উচ্চ পর্যায়ে, আমি গর্বিত। তোমরা সত্যের পক্ষে কাজ করবে, নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আফছর উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশের জন্ম হতো না। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তাই তাকে আরো ভাল করে জানতে তার আত্মজীবনী পড়তে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অনুকরণ করে সারাবিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলার জন্য আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি ঐক্যবদ্ধ। ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্টে ঘাতকরা নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছিল। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সেই স্বপ্নের সমৃদ্ধ সোনার বাংলার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।