কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে দেশী-বিদেশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সীমিত করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বড় ধরনের জনসংযোগ, মিটিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। একই সঙ্গে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধেরও নির্দেশ দেন তিনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রী সভার বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মন্ত্রী সভা বৈঠকের শুরুতেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এই আলোচনায় অংশ নেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। বৈঠকে জানানো হয়, ইতালিতে রবিবার ব্যাপক সংখ্যক লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। স্পেনের অবস্থাও ভয়াবহ। এসব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারী আমলা ও মন্ত্রীদের বিদেশীদের সঙ্গে সাক্ষাত সীমিত করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সাক্ষাত সীমিত করতে হবে। সাক্ষাত অত্যাবশ্যকীয় হলে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সরকারী অফিসে বৈঠকসহ সব কাজকর্ম সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। নিজেকে যেমন রক্ষা করতে হবে। তেমনি এর বিস্তার যাতে রোধ করা যায় সে ভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কাউকে দেখতে না গেলে ভাল। কেউ দেখতে গেলেও নিরাপদ দূরত্বে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে দেখতে হবে। সবাইকে ব্যক্তি পর্যায়ে এবং পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে সতর্ক থাকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বড় ধরনের কোন মিটিং বা সমাবেশ বা সামাজিক অনুষ্ঠান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন এবং ১৪ মার্চ আরও দু’জন রোগী পাওয়া যায়। প্রথম তিনজনের মধ্যে দু’জন বিদেশ থেকে আসায় তৃতীয় আরেক জনের শরীরে করোনা ছড়ায়। আর পরের দুজনের একজন ইতালি ও অপরজন জার্মানি থেকে দেশে ফিরেছিলেন। সোমবার নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়ার কথা জানায় আইইডিসিআর, যাদের মধ্যে দু’জনই শিশু এবং একজন নারী।