স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আক্তার ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী জামাল আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘৬২ প্রকল্পের কাজ’ সম্পাদনের পর ৭৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করা ২৫ ঠিকাদার। তারা বলছেন, আক্তার ট্রেডার্সসহ চারটি প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন সময়ে ৬২ প্রকল্পের কার্যাদেশ পায়। এসব কাজ সাববিক্রির মাধ্যমে ঠিকাদারদের দিয়ে সম্পাদনের পর টাকা উত্তোলন করে নিজ একাউন্টে রাখলেও ঠিকাদারদের প্রাপ্ত টাকা হস্তান্তর করেননি জামাল। জামালকে টেন্ডারবাজ জিকে শামীমের সাথে তুলনাও করেছেন তারা।
গতকাল সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জামালের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডও তুলে ধরেন ঠিকাদাররা। দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে জামাল আহমদ চৌধুরীকে গত বছরের শেষের দিকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে চারটি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। জামিনে জেল থেকে বের হয়ে আসা আগে ঠিকাদারদের সব পাওয়া টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করলেও জেল থেকে বের হয়ে তিনি উল্টো ঠিকাদারদের ভয়-ভীতি ও হুমকি এবং মামলার তদন্ত রিপোর্ট তার পক্ষে নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলেও দাবি করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘জামালের অনিয়ম ও দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের প্রকৌশলীবৃন্দ সহযোগী হিসাবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। এ কারণে গত ৩ বছরে জামাল সিলেট বিভাগের ৪ জেলার ৬২ প্রকল্পের ঠিকাদারী কার্যাদেশ প্রাপ্ত হন অথচ ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়েও একজন প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার ২টি প্রকল্পের কার্যদেশও পান নাই।’
সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদাররা দাবি করেন, তারা যদি পাওনা টাকা না পান তাহলে অর্থনৈতিক দেউলিয়াপনা সহ্য করতে না পেরে হয়ত আত্মহত্যার মত জঘন্য পরিনতির শিকার হওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবেনা। এজন্য তাদের পাওনা টাকা আদায়ে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যানমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কবির হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, দারুল ইসলাম দারা, তেরাব আলী, দিব্যদ্রুতি দাস দিলু পক্ষে স্ত্রী কনা রাণী দাস, বাবলু মিয়া, নিজাম উদ্দিন, সিদ্দিক হোসেন, বদরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, ফরিদ উদ্দিন, লুৎফুর রহমান ও শৈলেন দাস।